জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে সময়সীমা বেঁধে দিতে ব্যর্থ কপ সম্মেলন

আমাদের প্রত্যাশা এবং সম্মেলন থেকে প্রাপ্তি শীর্ষক আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করা হয়।

জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে সময়সীমা বেঁধে দিতে ব্যর্থ কপ সম্মেলন

প্রথম নিউজ, ঢাকা: এবারের কপ-২৮ সম্মেলনে রাষ্ট্রগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার আহ্বান জানালেও সময়সীমা বেঁধে দিতে কপ সম্মেলন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি)।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবে সিপিআরডির নেতৃত্বাধীন ৩০টি নাগরিক সংগঠন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের জোট ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে বৈশ্বিক জলবায়ু সমঝোতা সম্মেলন ২৮ (COP 28): আমাদের প্রত্যাশা এবং সম্মেলন থেকে প্রাপ্তি শীর্ষক আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করা হয়।

সম্মেলনে সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো: শামসুদ্দোহা বলেন, কপ-২৮ এ জলবায়ু অর্থায়নের জন্য নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট সংজ্ঞার দাবি করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে জলবায়ু অর্থায়নকে স্বীকৃতি দিতে এবং প্রয়োজনভিত্তিক, জরুরি ও একটি বাধ্যতামূলক পরিপূরক হিসেবে প্রণয়নের দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু সম্মেলন থেকে কপ/সিএমপির অধীনে একটি নতুন তহবিল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা একটি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। যার প্রথম ৪ বছরের পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে বিশ্ব ব্যাংক। এ তহবিল থেকে অর্থায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়নি। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঐতিহাসিক দায় এবং সিবিডিআর-আরসি নীতি বিবেচিত হয়নি। এছাড়া অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণকরণ এবং ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন বাস্তবায়নের কোন রোডম্যাপও গৃহীত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এবারের সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিনগুণ করার ব্যাপারে রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের জন্য কোনো অর্থায়নের কথা বলা হয়নি। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্রমান্বয়ে হ্রাস করতে উদ্যোগ বাড়ানোর জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে এবং রাষ্ট্রগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে, তবে কোনো সময়সীমা নির্দেশ করা হয়নি। জীবাশ্ম জ্বালানিতে অকার্যকর ভর্তুকি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অবস্থান্তর-জ্বালানি যেমন- গ্যাসের ব্যবহার উৎসাহিত করা হয়েছে কিন্তু এটি বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন বৃদ্ধিকে প্রলম্বিত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সিসিডিবির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়েট কেয়া মালাকার, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মজুমদার, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা আমজাদ হোসেনসহ অনেকেই।