জনগণের মতপ্রকাশে বাধাদানকারীদের জবাবদিহিতায় নেবে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনিজুয়েলার নির্বাচন
প্রথম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ভেনিজুয়েলায়। তাতে সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজতে বিরোধী দলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিরোধী দল থেকে ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছেন, তাদের একজনকে বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। একে বলা হয় প্রাইমারি। অক্টোবরে বিরোধী দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রাইমারি নির্বাচন হবে। তাতে যে প্রার্থী বিজয়ী হবেন, তিনি নিকোলাস মাদুরোর মুখোমুখি হবেন। বিরোধী দলের প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম ফেভারিট হলেন মারিয়া কোরিনা মাখাদো। ৫৫ বছর বয়সী এই নারী একজন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ার ও সাবেক আইনপ্রণেতা। তার বিরুদ্ধে সরকারি কোনো পদে ১৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে শুক্রবার। এমন উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।
এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছাশক্তিকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা যারা করবে, তাদেরকে জবাবদিহিতায় আনবে যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দেশটির নিকোলাস মাদুরোর সরকার এবং বিরোধী দলের সাবেক নেতা হুয়ান গাউদোর বিরুদ্ধে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দিয়েছিলেন মারিয়া কোরিনা মাখাদো। এ জন্য তার বিরুদ্ধে এর আগে মাদুরো সরকারের নিষেধাজ্ঞা ছিল। এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। তারা বলেছে, রাজনৈতিক পরিবর্তনকে প্রতিহত করতে ক্ষমতাসীনরা বছরের পর বছর নিষেধাজ্ঞাকে ব্যবহার করছে। প্রতিক্রিয়ায় মারিয়া কোরিনা বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা গার্বেজ ছাড়া কিছু না। এর অর্থ জিরো। এতেই প্রমাণিত হয়েছে যে মাদুরো সরকার পরাজিত হয়েছে।
এ অবস্থায় ভেনিজুয়েলার জনগণকে তাদের নেতা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচিত করার সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিবৃতিতে শুক্রবার বলেছেন, মারিয়া কোরিনাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দেশটির জনগণকে তাদের মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কোনো রকম হস্তক্ষেপ ছাড়া ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন প্রার্থীর অংশগ্রহণের অধিকার আছে। দেশটিতে ন্যাশনাল ইলেকশন কাউন্সিল (সিএনই) পুনর্গঠনের যে চলমান প্রক্রিয়া তাতেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আরও বলা হয়েছে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষ সিএনই প্রয়োজন।
দেশটির প্রতিজন মানুষের কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করার মাধ্যমে সিএনই তার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং ভোটারের আস্থা বৃদ্ধি করতে পারে। ২০২৪ সালে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভেনিজুয়েলার সব নাগরিকের অর্জনের প্রচেষ্টার প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করি। সেখানে প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং মানবিক সংকটের অবসান প্রত্যাশা করি। এক্ষেত্রে দেশের ভিতরে এবং বাইরে ভেনিজুয়েলার মানুষের জরুরি সমস্যার সমাধানে আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে অব্যাহত কাজ করে যাবো। ভেনিজুয়েলার জনগণের ইচ্ছাশক্তি থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা যারা করবে তাদরকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনবে যুক্তরাষ্ট্র।