‘চীনাদের দেশত্যাগে বাধা দিচ্ছে শি জিনপিং’
বহির্গমন ঠেকাতে ২০১৮ সালের পর থেকে ৫ টি নতুন আইন বা ‘প্রস্থান নিষেধাজ্ঞা’ পাস করেছে বেইজিং।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: নতুন নতুন আইন করে জনগণকে দেশত্যাগে বাধা দিচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বহির্গমন ঠেকাতে ২০১৮ সালের পর থেকে ৫ টি নতুন আইন বা ‘প্রস্থান নিষেধাজ্ঞা’ পাস করেছে বেইজিং। মাদ্রিদভিত্তিক অধিকার গ্রুপ সেফগার্ড ডিফেন্ডারসের তথ্য অনুসারে, শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি আইন জারি করেছেন। বাধ্য হয়ে সরকারের নতুন আইনের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ভুক্তভোগী চীনারা। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে চীনের সুপ্রিমকোর্টে বহির্গমন নিষেধাজ্ঞার মামলা আট গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীনের বেশ কিছু মানাবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরোপিত এসব কঠোর নিরাপত্তা আইনের কারনেই দেশ ত্যাগে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ জনগন। সংস্থাগুলোর দাবি-২০১২ সালে শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকে, ‘চীন প্রস্থান নিষেধাজ্ঞাকে আরও জোরদার করেছে। নিজেদের সীমানা আরও প্রসারিত করছে। আইনি বৈধতার বাইরেও তারা এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’ তারা আরও বলছে, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আইনগুলো কঠোর করার মধ্য দিয়ে সবদিক থেকে সাধারণ জনগনের জীবনের উপর নিয়ন্ত্রন পাবার চেষ্টা চালাচ্ছে শি নেতৃত্বাধীন দেশটির কমিউনিস্ট সরকার।
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে করা এ আইনগুলি ‘ অস্পষ্ট, জটিল, বিস্তৃত এবং আপিলযোগ্য নয়’। গত পাঁচ বছরে রাজনৈতিকভাবে বহির্গমন নিষেধাজ্ঞা আরও বাজে অবস্থায় পৌঁছেছে। সাংবাদিক, আইনজীবী, বিদেশি ব্যবসায়িক কর্মকর্তা ছাড়াও হাজার হাজার বন্দী নাগরিককে গত কয়েক বছর চীন ছাড়তে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৯৯৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২৯ জন মার্কিনি, ৪৪ জন কানাডিয়ানের প্রস্থান নিষিদ্ধ করা হয়। বিদেশী ব্যবসায়িক লবিগুলোর দাবি, ‘অনেকেই আছেন যারা দেশ ছাড়ার আগ পর্যন্ত এ প্রস্থান নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে অবগত থাকে না । এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ব্যবসা মন্দার ঝুঁকিকে দিন দিন বাড়িয়ে দিচ্ছে’।