ঘাড়ে ব্যথা কেন হয়? জেনে নিন ঘরোয়া প্রতিকার
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ঘাড়ে ব্যথায় ভোগেননি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিশেষ করে যারা অফিসে বা বাড়িতে একটানা দীর্ঘ সময় বসে থেকে কাজ করেন। টানা কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে অনেকেরই ঘাড়ে ব্যথা দেখা দেয়। কিন্তু কাজের চাপ বা ব্যস্ততা চাইলেও খুব বেশি কমানো যায় না। তবে ঘাড়ে ব্যথা থেকে বাঁচতে চাইলে জেনে নিতে হবে কিছু ঘরোয়া উপায়। এতে ঘাড়ে ব্যথা থেকে দূরে থাকা সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘাড়ে ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার-
১. ঘাড়ের ব্যায়াম করুন
ঘাড়ে ব্যথা কমানোর জন্য নিয়মিত ঘাড়ের কিছু ব্যায়াম করতে হবে। এতে ঘাড়ে ব্যথাতে থেকে আরাম পাওয়া যাবে দ্রুত । ঘাড়ের ব্যথা থেকে বাঁচতে ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এক্ষেত্রে ভুল-ভাল নিয়মে ব্যায়াম করা চলবে না। সবচেয়ে ভালো হয় বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ মেনে ব্যায়াম করলে। তাহলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব হবে।
২. একটানা কাজ নয়
একটানা বসে থেকে কাজ করে যাবেন না। মনে রাখবেন, যন্ত্রেরও বিশ্রামের প্রয়োজন হয় আর আপনি তো মানুষ। তাই কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নিন। কাজের মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ান, একটু হাঁটাহাঁটি করুন বা হালকা ব্যায়াম করুন। এটুকু বিরতি নিলে তা আপনার ঘাড়ে ব্যথার দূরে রাখতে সাহায্য তো করবেই, সেইসঙ্গে কাজেও মনোযোগ বাড়াবে।
৩. মাথা ঝুঁকিয়ে কাজ করবেন
মাথা একটানা ঝুঁকিয়ে কাজ করবেন না বা পড়াশুনা করবেন না। আপনি কাজের ক্ষেত্রে যতটাই একাগ্র হোন না কেন, এভাবে কাজ করার অভ্যাস করবেন না। ল্যাপটপের স্ট্যান্ড ব্যবহার করুন বা স্টাডি টেবিল ব্যবহার করুন। এর ফলে ঘাড় বেশিক্ষণ ঝুঁকে থাকার দরকার হবে না। ফলে ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার ভয় থাকবে না।
৪. বেশি উঁচু বালিশ ব্যবহার করবেন না
ঘুমের সময় আপনার মাথা কীভাবে রাখছেন, তাও কিন্তু ঘাড়ে ব্যথায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই খুব বেশি উঁচু বালিশ ব্যবহার করবেন না। আপনার বালিশ যেন আধা-এক ইঞ্চির বেশি উঁচু না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ উঁচু বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমালে ঘাড়ে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। দু’টি বালিশে মাথা দিয়েও কখনো ঘুমাবেন না।
৫. অতিরিক্ত বোঝা বহন করবেন না
আপনার ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার পেছনের কারণগুলো বুঝতে পারছেন তো? একটু খেয়াল করলে দেখবেন, ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত বোঝা বহন করা। তাই ভারী ব্যাগ বহন করার অভ্যাস ছাড়ুন। সম্ভব হলে ব্যাগ দু’টি করে দুই হাতে ব্যাগ নিন। বা হাতে একটি আর পিঠে একটি নিন। পিঠের ব্যাগটি যেন কখনোই খুব বেশি ভারী না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।