গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সাধারণ মনে হলেও এর কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। তাই গ্যাস্ট্রিক দেখা দিলে তাদের জীবনযাপনে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়। বিশেষ করে খাবারের ক্ষেত্রে থাকতে হয় অনেক বেশি সতর্ক। অনেকগুলো খাবার যোগ এবং বিয়োগ করতে হয় প্রতিদিনের তালিকা থেকে। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে এড়িয়ে যেতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

১. পপকর্ন

পপকর্ন পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এটি পৃথিবীজুড়েই খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। কিন্তু এই খাবারে থাকা অতিমাত্রায় ফাইবার অনেকের ক্ষেত্রে হজমে গণ্ডগোলের কারণ হতে পারে। পপকর্নে থাকা ফাইবারের কারণে গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হালকা ধরনের এই খাবার পরিপাক ক্রিয়ায় অতিরিক্ত বায়ু যোগ করতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে পপকর্ন এড়িয়ে চলুন।

২. কাঁচা সবজি

অনেকে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় কাঁচা সবজি যোগ করেন। কাঁচা সবজিতে সালফার বা গন্ধকের যৌগ থাকে। এ ধরনের যৌগ থেকে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে কারণে কাঁচা সবজি দিয়ে তৈরি সালাদ খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে কাঁচা সবজি খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।

৩. চুইংগাম

চুইংগাম আসলে কোনো খাবার নয়। এটি চিবোনো হলেও শেষ পর্যন্ত গিলে ফেলা হয় না। মুখশুদ্ধি হিসেবে বহুল প্রচলিত এই জিনিসটিও কিন্তু বদহজমের কারণ হতে পারে। এর কারণ হলো, চুইংগাম মুখে রেখে চিবোলে অনেকটা বাতাসও আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যার ফলে গ্যাসের কারণে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে চুইংগাম চিবোনোর অভ্যাস বাদ দিন।

৪. পেঁয়াজ

পেঁয়াজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আবার রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিকও। যেমন পেঁয়াজে থাকা এক ধরনের কার্বোহাইড্রেড ফ্রুক্টন অনেকের শরীরই হজম করতে পারে না। মানুষের শরীরে প্রবেশের পর এই ফ্রুক্টন যখন ভাঙতে শুরু করে তখন পরিপাক পদ্ধতিতে গ্যাস তৈরি হয়। তাই পেঁয়াজ খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা থাকলে খাবার থেকে পেঁয়াজ বাদ দেওয়াই উত্তম।

৫. আপেল

আপেল আসলে স্বাস্থ্যকর একটি ফল। কিন্তু এটি গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। এর কারণ হলো, আপেল, পিচের মতো ফলে ফ্রুক্টোজের মাত্রা খুব বেশি থাকে। এর প্রভাবে শরীরে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে আপেল এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে শরীর চর্চার ধরন নিয়ে চিন্তিত থাকেন অনেকে। জিমে গিয়ে যন্ত্র ব্যবহার করতেও মন চায় না। কারণ, ভারী ভারী যন্ত্র তুলতে গিয়ে যদি হিতে বিপরীত হয়, ফল ভালো হবে না।  নির্দিষ্ট ছন্দে হাঁটাহাঁটি অর্থাৎ জগিং, দৌড়ের অভ্যাস হয়তো আগে ছিল। তবে বয়স তো বাড়তি দিকে। তা হলে কি দৌড়নো উচিত হবে? কী ধরনের শরীরচর্চা করলে তা বিপাকহারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে? 

প্রশিক্ষেকরা বলছেন, ক্যালোরি পোড়ানোর দিক থেকে চিন্তা করলে জগিং-এর চেয়ে রানিং অর্থাৎ দৌড়নোই ভালো। ফলে, ওজন ঝরানোর কাজটিও সহজ হয় এই ধরনের শরীরচর্চায়। 

দৌড়লে হার্ট ভালো থাকে। হৃদ্‌স্পন্দনের হারও বেড়ে যায়। জগিং করা বা হাঁটার চেয়ে দৌড়নোর অভ্যাস কার্ডিয়োভাসকুলার ফিটনেসের ওপর বেশি প্রভাব ফেলে।

তবে, যাদের হাড়ের বা অস্থিসন্ধির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যে দৌড়ের চেয়ে হাঁটা বা জগিং করা অনেকাংশে নিরাপদ। 

সবে মাত্র শরীরচর্চা করতে শুরু করেছেন যারা, তাদের কাছে দৌড়ানোর মতো কাজ বেশ কঠিন মনে হতে পারে। বেশি বয়সে দৌড়নো ক্ষেত্রবিশেষে ঝুঁকিরও। তাই যে কোনো বয়সের ক্ষেত্রেই হাঁটা বা জগিং দিয়ে শুরু করা নিরাপদ। 

কম সময়ে দ্রুত মেদ ঝরাতে চাইলে দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। সে দিক থেকে দেখতে গেলে, হাঁটার চাইতে দৌড়ানো ভাল।