গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি হলে ফেরত দিতে হবে অর্থ
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পিএইচডি গবেষণার জন্য ফান্ড দিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পিএইচডি গবেষণার জন্য ফান্ড দিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কিন্তু অর্থ মেলার পর কোনো শিক্ষক চৌর্যবৃত্তিতে জড়ালে ফেরত দিতে হবে সেই অর্থ। চলতি অর্থবছর থেকেই কার্যকর হতে যাচ্ছে এই নিয়ম। এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করছে ইউজিসি। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষকরা ইউজিসি থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে বন্ডে স্বাক্ষর করে নিতে হবে। ইউজিসি’র তথ্যানুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা। গবেষণায় গুরুত্বারোপ করে বাড়ানো হয় বাজেট। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই বাজেট বাড়িয়ে করা হয় ১২০ কোটি টাকা। সেটা পরের অর্থবছরে বাড়িয়ে ১৫০ কোটি করা হয়। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দের জন্য শিক্ষকদের জমা দিতে হবে রিসার্স পলিসি।
ইউজিসি’র সদস্য (অর্থ ও হিসাব বিভাগ) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমরা অর্থের সঠিক ব্যবহার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের চেষ্টা করছি। আমাদের পলিসি অনুযায়ী বরাদ্দ নিলে তাকে অবশ্যই ভালো মানের জার্নালে সেটি প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়াও ২০ শতাংশের বেশি প্লেগারিজম পাওয়া যায় তবে তাকে অর্থ ফেরত দিতে হবে। কেউ গবেষণা খাত থেকে অর্থ নিয়ে গবেষণা করবেন না বা প্লেগারিজম করবে এই সুযোগ নেই।
আর্টিকেলের মান যাচাইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, সফটওয়ারের মাধ্যমে প্লেগারিজম চেক করা হবে। কেউ যদি তার আর্টিকেলে রেফারেন্সসহ কোনো তথ্য ব্যবহার করে। ২০ শতাংশের বেশি প্লেগারিজম হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।