গাবতলীতে স্বামীকে জিম্মি করে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহ এলাকায় ইছামতি নদী সংলগ্ন সিঙ্গারবিলে পতিত জমিতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রথম নিউজ, বগুড়া: বগুড়ার গাবতলীতে স্বামীকে চাকুর মুখে জিম্মি করে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহ এলাকায় ইছামতি নদী সংলগ্ন সিঙ্গারবিলে পতিত জমিতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী গভীর রাতে গাবতলী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শুক্রবার ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গাবতলী থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, আসামিদের বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রয়োজনে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। শনিবার (আজ) ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।
গ্রেফতাররা হলো-বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের মহিষাবান মধ্যপাড়ার শাহিনের ছেলে মো. রাব্বি (২৪), একই গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে আবদুল ওয়াহেদ (২১), মো. আলমের ছেলে মো. হৃদয় (২১), মহিষাবান চকমড়িয়া গ্রামের ওয়াজকুরনী সাকিদারের ছেলে নূর আলম নিশাদ (২২) এবং মহিষাবান মধ্যপাড়ার জাহিদুল ইসলামের ছেলে মো. কাউসার (২১)।
ভুক্তভোগী এজাহারে উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে স্বামীর সঙ্গে তিনি ইজিবাইকে সারিয়াকান্দির দীঘলকান্দি প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে তারা বাড়ির দিকে রওয়ানা হন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ি-তরুণীহাট সড়কের পোড়াদহ লোহার ব্রিজের পাশে পৌঁছেন। এ সময় পাঁচ আসামি ইজিবাইক ঘিরে ধরে ও ধারালো চাকু দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর ইজিবাইকসহ তাদের প্রায় ৩০০ গজ উত্তরে ইছামতি নদী সংলগ্ন সিঙ্গারবিল এলাকায় পতিত জমিতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আসামি কাউসার ও হৃদয় ইজিবাইকের মধ্যে তার স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে আটকে রাখে। এ সময় রাব্বি, ওয়াহেদ ও নিশাদ গলায় চাকু ধরে মুখ বেঁধে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর আসামি রাব্বি ইজিবাইকে গিয়ে গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রাখলে হৃদয় এসে তাকে ধর্ষণ করে। আসামি কাউসার অন্যদের ধর্ষণে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে। ধর্ষণের কারণে অসুস্থ হয়ে তিনি গোঙ্গাতে থাকলে আসামিরা তাকে ফেলে ও স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
গাবতলী থানার ওসি জানান, ভুক্তভোগী গৃহবধূ বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে থানায় এসে চার আসামির বিরুদ্ধে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও কাউসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোগিতার মামলা করেন। শুক্রবার ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।