কেরানীগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
গতকাল দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। জানা গেছে, ফরিদ উদ্দীন, আ. মান্নান, মোনায়েম হোসেন, লিসা আফরিন ও সাবরিনা ইয়াসমিন কলমারচর এলাকায় সাড়ে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
প্রথম নিউজ, কেরানীগঞ্জ: কেরানীগঞ্জের কলমারচর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সজীব (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গতকাল দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। জানা গেছে, ফরিদ উদ্দীন, আ. মান্নান, মোনায়েম হোসেন, লিসা আফরিন ও সাবরিনা ইয়াসমিন কলমারচর এলাকায় সাড়ে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তারা কেউই ওই এলাকার বাসিন্দা নন। তারা স্থানীয় শাহাবুদ্দিনের কাছ ওই জমি ক্রয় করে নামজারি ও খাজনা পরিশোধ করেন। এদিকে ওই জমি নিজের বলে দাবি করেন তারানগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সামসুল আলম। এ নিয়ে যারা জমিটি ক্রয় করেছেন তাদের সঙ্গে সামসুল আলমের বিরোধ তৈরি হয়।
গতকার সকালে জমির মালিক ফরিদ উদ্দীন, মান্নান, মোনায়েম কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে জমিতে মালিকানা সাইনবোর্ড লাগান। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে সামসুল আলম ও তার ছেলে মামুনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। এ সময় তারা দা, চাপাতি দিয়ে সজীব নামে এক শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ছাড়াও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৪ জন গুরুতর আহত হন।
জমির মালিকদের একজন ফরিদ উদ্দিন বলেন, কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে ক্রয় করা জমিতে সাইনবোর্ড লাগানোর সময় তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা ও কয়েকজনকে রক্তাক্ত জখম করেছে। তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগেও আমরা জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলাম। তখনো সামসুল আলম আমাদের মালিকানা সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। এনিয়ে আদালতে আমরা মামলা করি। আদালত জমিতে ১৪৫ ধারা জারি করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গতকাল তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারীরা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।