এখনো চলছে তীব্র লড়াই, ইসরায়েলে ঢুকেছে হামাসের আরও যোদ্ধা

এখনো চলছে তীব্র লড়াই, ইসরায়েলে ঢুকেছে হামাসের আরও যোদ্ধা

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : প্রায় দুই দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও এখনো ইসরায়েলের ভেতর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রোববার (৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি জায়গায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও হামাসের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই চলছে।

অপরদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নতুন করে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহর মাগেনে প্রবেশ করেছেন হামাসের আরও যোদ্ধা।

আর ওই যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। হামাসের সদস্যদের প্রতিহত করতে সেখানে ট্যাংক ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।

প্রভাবশালী ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী শহর সেরোতের একটি পুলিশ স্টেশনে হামাসের ১০ সদস্য অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে তাদের সরিয়ে দিয়ে এখন সেখানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনর্স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, রাতব্যাপী অভিযান চালিয়ে হামাসের কাছ থেকে বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু বে’ঈরিতে যুদ্ধ চলছিল। তবে সেরোত এবং দক্ষিণাঞ্চলের আরও চারটি অঞ্চলের অবস্থা নিয়ে কোনো স্পষ্ট তথ্য দেয়নি তারা।

হারেৎজ জানিয়েছে, কাফার আজার বাসিন্দারা এখনো ঘরের ভেতর নিজেদের আবদ্ধ করে রেখেছেন এবং সেনাবাহিনীর সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছেন।

শহরটির এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘কাফার আজার এখনো যুদ্ধের মধ্যে আছে।’

এদিকে গতকাল শনিবার হামাসের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা লোহার সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করেন। এরপর সেখানে ইসরায়েলি সেনাদের বিভিন্ন চেকপোস্টে হামলা চালান তারা। এছাড়া বেশ কয়েকজন সেনা ও বেসামরিক মানুষকে ধরে নিয়ে আসেন তারা।

ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলা চালাতে যাওয়া হামাসের কয়েকশ যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তারা। এছাড়া অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার হামাস ইসরায়েলের ভেতর অতর্কিত হামলা চালানোর পর গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। তাদের এ হামলায় গাজায় প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন তিনশর বেশি ইসরায়েলি।