ঈদের ছুটিতে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক নেই কুয়াকাটায়

ঈদের ছুটিতে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক নেই কুয়াকাটায়

প্রথম নিউজ,পটুয়াখালী: বৈরী আবহাওয়ায় কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের। শনিবার (১ জুলাই) সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে হতাশ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

সৈকতের জিরো পয়েন্ট, লেম্বুরবন, গঙ্গামতির চর, শুঁটকি মার্কেট, রাখাইন মার্কেটসহ বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, পর্যটক স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও বেশিরভাগই স্থানীয়। হোটেল-মোটেল মালিকরা বলছেন- প্রতি বছর ঈদে যে পরিমাণ পর্যটকের সমাগম হয় সে তুলনায় এ বছর মাত্র ৫০-৬০ শতাংশ পর্যটক আসছে।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শুভ হোসাইন বলেন, গতকাল কুয়াকাটায় এসেছি। এখানে সামুদ্রিক মাছসহ খাবারের দাম অনেক বেশি। তিনদিন থাকার বাজেটে দুদিনের বেশি থাকা যাবে না। আবুল হোসেন নামের এক পর্যটক বলেন, পদ্মা সেতুর সুবিধার্থে আগের চেয়ে অর্ধেক সময়ে কুয়াকাটায় পৌঁছাতে পারছি। যে কারণে ভ্রমণ হিসেবে কুয়াকাটাকে আমরা এখন প্রথম পছন্দ করি। তবে সৈকতের অব্যবস্থাপনা এবং ভ্রমণ স্পটগুলোতে যাতায়াতের রাস্তা খুবই খারাপ, অবস্থা এগুলোর উন্নয়ন না করলে কুয়াকাটায় পর্যটক আর আসবে না।

হোটেল সাউথস্টারের পরিচালক অভি হোসাইন বলেন, আমাদের হোটেল কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টকেন্দ্রিক অনেক উন্নত সার্ভিস দিয়ে থাকি। তারপরও ঈদের পরে দুদিন আমরা মাত্র ৪০ শতাংশ রুম বুকিং দিতে পেরেছি। বাকিগুলো খালি পড়ে আছে।

কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির মো. সেলিম মুন্সী বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সামুদ্রিক মাছের অতিরিক্ত দামের কারণে কম দামে পর্যটকদের দিতে পারি না। তারপরও পর্যটকদের জন্য দামাদামি করে খাবার খাওয়ার পরিবেশ রয়েছে। এছাড়াও আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দামের তালিকা দেওয়া আছে যাতে কেউ বেশি রাখতে না পারে।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় আমাদের কাঙ্ক্ষিত পর্যটকদের মাত্র ৫০-৬০ শতাংশ পর্যটক এসেছে। যে কারণে পর্যটন ব্যবসায়ীরা হতাশ। তবে আমাদের সংগঠনের আওতাভুক্ত কোনো হোটেল অতিরিক্ত ভাড়ায় রুম বুকিং দেয় না।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ সব বিষয়ে আমরা তদারকি করছি। এরপরও যদি কোনো আবাসিক কিংবা খাবার হোটেলের বিষয়ে পর্যটকরা অভিযোগ করে তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো।