ঈদযাত্রায় সড়কে সড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা

ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা একটু বেশি। বিশেষ করে এ দুটি মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সমন্বয়হীন উন্নয়ন কাজ এ শঙ্কা তৈরি করছে।

ঈদযাত্রায় সড়কে সড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা

প্রথম নিউজ, ঢাকা: প্রতিবছরই ঈদ আসলে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ে সড়কে। এবারও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। প্রতিবারের মতো এবছরও ঈদযাত্রায় সড়কে সড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা। এর মধ্যে ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা একটু বেশি। বিশেষ করে এ দুটি মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সমন্বয়হীন উন্নয়ন কাজ এ শঙ্কা তৈরি করছে।

এখন থেকেই ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজট লেগে আছে। এর মধ্যে ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য সড়কে বাড়বে গাড়ি। তাতে যানজট মারাত্মক হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। যদিও ঈদযাত্রা যেন ভোগান্তি ছাড়াই হয়, সেজন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তাকে আট লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। যদিও তা ঢিমেতালে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি ফুটপাত প্রশস্ত করা হচ্ছে। কাজ চলছে ক্রস ড্রেনেরও। সব মিলিয়ে এ মহাসড়কে প্রতিদিনের যানজটে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সাভারের জিরানী বাসস্ট্যান্ড, বাইপাইল, জিরাব, আশুলিয়া বাজার এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর, সাভার বাসস্ট্যান্ড, হেমায়েতপুর সড়কে সরজমিনে চোখে পড়েছে যানজটের চিত্র। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশসহ হাইওয়ে পুলিশ।

এ সড়কে চলাচল করা ঠিকানা পরিবহণের চালক বাবুল হোসেন জানান, সড়কে উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি সংস্কার এবং যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামায় এমনিতেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এর বাইরে সড়কের দুই পাশে সার্ভিস লেন দখল করে হকারদের ব্যবসার কারণে যানজট মাত্রা ছাড়িয়েছে। এসব কিছুর দিকে নজর না দিলে ঈদযাত্রার বড় পরিবহণের চাপে যানজট আরও বাড়বে। ঢাকামুখী শুভযাত্রা পরিবহনের চালক খুরশিদ আলম বলেন, ‘দিন যায় ভোগান্তি বাড়ে, এসব যেন দেখার কেউ নেই।’

ব্যাংক কর্মকর্তা এবাদত হোসেন জানান, আগে সাভার থেকে ঢাকার গাবতলী পর্যন্ত নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে।  বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সার্ভিস লেন সাইনবোর্ড বসিয়ে দায় সেরেছে কর্তৃপক্ষ। এবাদত হোসেন আরও বলেন, ‘সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড অংশে বসেছে হকারদের দোকানপাট। এর মধ্যে চলছে সড়ক বিভাজক তৈরির কাজ। সব মিলিয়ে এমনিতেই তীব্র যানজট। ঈদযাত্রায় কী হতে পারে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।’

ঢাকা জেলা (উত্তর) ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আব্দুস সালাম বলেন, ‘মহাসড়কে যানজট যে হচ্ছে না, তা বলা যাবে না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে সড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার চেষ্টা করছি। তবে, মহাসড়কে উন্নয়নমূলক কাজ এবং সড়ক বিভাজক তৈরির কাজগুলো পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শামীম আল মামুন বলেন, ‘উন্নয়ন কাজ চলমান প্রক্রিয়া। আর এ অসুবিধা সাময়িক। সড়ক উন্নয়ন কাজ কোনোভবেই যেন যানজট সৃষ্টির কারণ হতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক আতিকুর রহমান বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় গত দুই বছরের তুলনায় নিঃসন্দেহে এবার সড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকবে। সেইসঙ্গে যানজট তৈরির শঙ্কাও রয়েছে।’ তবে, ঘরমুখো মানুষদের নিবিঘ্নে যাতায়াতে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom