আরও অনেক দেশ সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে : নুর
এমনকি জাতিসংঘে আমাদের শান্তিরক্ষী মিশন বন্ধ হতে পারে।
প্রথম নিউজ,ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ নয় আরও অনেক দেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। এমনকি জাতিসংঘে আমাদের শান্তিরক্ষী মিশন বন্ধ হতে পারে।
শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে এক সমাবেশ থেকে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। গণঅধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কর্তৃক আয়োজিত দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নুর বলেন, গত ১৪ বছরে এই সরকার বিরোধীদের ওপর দলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লেলিয়ে দমন-পীড়ন করে যেভাবে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে তাতে স্পষ্ট যে, এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী যদি পবিত্র কুরআন ছুঁয়েও শপথ করে বলেন, তাতেও জনগণ তাকে আর বিশ্বাস করবে না।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের কথা বললেও পরবর্তীতে সেই কথা রাখেনি। নির্বাচনের আগে গণভবনে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে ডেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে, বেঈমানি করেছেন। কাজেই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি বিরোধী দলসমূহের চলমান নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিকে আর শক্তিশালী করেছে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের সকল বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্রসমূহকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার পাশে চাই। সরকারকে বলব, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনে সন্ত্রাস, সহিংসতা, হামলা-মামলা, হয়রানি বন্ধ করে অনতিবিলম্ব সংকট উত্তরণে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসুন।
শান্তিরক্ষী মিশন হুমকির মুখে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সৎভাবে ভালো আয়ের সম্মানজনক জায়গা শান্তিরক্ষী মিশন। সেটিও এখন সরকারের কারণে হুমকির মুখে। কারণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিজ দেশের নাগরিকদের গুম,খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে। গুটিকয়েক দুর্বৃত্ত ও সুবিধাভোগীদের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানের বদনাম হতে পারে না। বাহিনীর গায়ে কলঙ্কের ছাপ লাগতে পারে না। তাই এ বিষয়ে তাদেরকেও ভাবতে হবে।