অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসায় ম্যাট থিসেলওয়েট

বুধবার অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসায় ম্যাট থিসেলওয়েট

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক : নতুন সরকার গঠনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বুধবার অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় হায়াত হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট। 

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতি প্রদান এবং ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফহুইটলামের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুদেশের দৃঢ় সম্পর্কের সূচনা হয়। তিনি অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।

এ সময় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও ব্যাপক পরিসরে বাড়বে বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। 

অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল এমপি এন্ড্রু চার্লটন, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে বুধবার সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। 

এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া যারা মুক্তি সংগ্রামে অবদান রেখেছেন ও শহিদ হয়েছেন তাদের জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।