ইউক্রেনের এফ-১৬ ধ্বংস করা হবে: পুতিন

বুধবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময়) রাশিয়ার সামরিক পাইলটদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন পুতিন।

ইউক্রেনের এফ-১৬ ধ্বংস করা হবে: পুতিন

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক : রুশ বাহিনীকে হটাতে পশ্চিমাদের কাছে অসংখ্য অস্ত্র সহায়তা নিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ায় আগ্রাসন চালাতে ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চেয়ে আসছে আধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। মিত্রদের এ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে রাজিও হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি এই ফাইটার দেওয়ার আগে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান চালনার প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনীয় পাইলটদের। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমারা যদি ইউক্রেনে এফ-১৬ ফাইটার সরবরাহ করে তাহলে রুশ বাহিনী সেগুলো গুলি করে ধ্বংস করবে। 

বুধবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময়) রাশিয়ার সামরিক পাইলটদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন পুতিন। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো পুতিনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে এফ-১৬ ফাইটার জেট সরবরাহ করলেও এই বিমানটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না। পুতিন আরও বলেছেন, ‘তবে এই ফাইটার জেটগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে এবং মস্কোকে তার সামরিক পরিকল্পনায় এটি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো (রাশিয়ার হামলার) বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, সেটা তারা যেখানেই থাকুক না কেন। অবশ্যই যদি এই যুদ্ধবিমানগুলো তৃতীয় কোনো দেশের বিমানঘাঁটি থেকে ব্যবহার করা হয়, তবে তারাও আমাদের জন্য বৈধ লক্ষ্যে পরিণত হবে।’ 

মঙ্গলবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই যুদ্ধবিমানটির ইউক্রেনে পৌঁছানো উচিত। এর একদিন পরই এমন মন্তব্য করলেন পুতিন। অবশ্য দুই বছরের বেশি সময় ধরে রুশ আগ্রাসনের অধীনে থাকা ইউক্রেন বহু মাস ধরে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে এসেছে। গত বছর বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং নেদারল্যান্ডস কিয়েভকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এছাড়া এই দেশগুলোর একটি জোট ইউক্রেনীয় পাইলটদের এই যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য প্রশিক্ষণে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধের পরিকল্পনা নিয়েও মন্তব্য করেছেন পুতিন। বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে, পশ্চিমাদের এমন দাবি হাস্যকর। এমন কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে মস্কো এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে চলতি সপ্তাহে গোপনে উত্তর কোরিয়া সফর করলেন রুশ গোয়েন্দা প্রধান সের্গেই নারিশকিন।