অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘিরে ধরেছে: ডা. জাহিদ

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মরহুম রুহুল আমীন গাজীর স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘিরে ধরেছে: ডা. জাহিদ

প্রথম নিউজ, অনলােইন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চতুর্দিকে ওয়ান ইলেভেন এবং স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘিরে ধরেছে। এদের থেকে বের হয়ে না আসলে ওরা আপনাদেরও (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) গিলে খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।  মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মরহুম রুহুল আমীন গাজীর স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) ওয়ান ইলেভেনের সুবিধাভোগীদের চতুর্দিকে বসিয়েছেন। শেখ হাসিনার সুবিধাভোগীদের সাথে নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন। সেজন্যই আজকে এই অবস্থা। সরকারের বয়স এখন ২ মাস হয়ে যাচ্ছে। এখনো কী আপনাদের ঘুম ভাঙেনি। আপনাদের চতুর্দিকে ওয়ান ইলেভেন এবং স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘিরে ধরেছে। এদের থেকে বের হয়ে না আসলে ওরা আপনাদেরও গিলে খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই দয়া করে ঘুম থেকে উঠুন। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ, ছাত্র-জনতা আপনাদের পাশে আছে। আপনারা দয়া করে সচেতন হোন। 
তিনি বলেন, অনেক মানুষের রক্তের উপর পা রেখে আপনারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) ক্ষমতায় বসেছেন। কোন অবস্থাতেই নিজেদের অসীম ভাববেন না। সবার সীমাবদ্ধতা আছে। বিগত ১৬ বছর ধরে যারা মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরেছে, সে মামলাগুলো এখানও কেন নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না? এসব মামলা তুলে নেওয়ার জন্য কেন তাদেরকে কোর্টের বারান্দায় ঘুরতে হবে? আপনার এখন অনেকেই দায়িত্ব নেয়ার পর সুর পাল্টে কথা বলছেন। আইনকানুনের কথা বলছেন। তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানকে হাজিরা দেওয়ার পর জেলে যেতে হবো এমন স্বাধীনতা তো আমরা চাইনি। দুর্নীতিবাজ, অপরাধীদের সরকার খুঁজে পায়না শুধু মাহমুদুর রহমানকে জেলে পাঠাতে পারে।
প্রয়াত রুহুল আমীন গাজীর স্মরণে ডা. জাহিদ বলেন, তিনি মানবিক গুণাবলির মানুষ ছিলেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পেছনে কে আছেন সেটি খেয়াল রাখেননি। সবসময় সাহস নিয়ে চলেছেন। সাংবাদিকদের যে কোন দাবি আদায়ে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তাকে যখন জেলখানায় নেওয়া হয়েছে, তখন খুব অসুস্থ ছিলেন। সরকার তাকে চিকিৎসা দেয়নি। যার ফলে তার অসুখ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে৷ তাকে ফ্যাসিস্টরা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখনো স্বাধীনতা আসেনি। মানবাধিকার, আইনের শাসন নিশ্চিত হলেই রুহুল আমীন গাজীর আত্মা শান্তি পাবে বলেও বক্তব্য দেন তিনি।
এসময় সিনিয়র সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক দলের নেতারাও স্মরণসভায় বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মরহুম রুহুল আমীন গাজীর স্মরণে স্মৃতিচারণ করেন।