অক্টোবরেই আওয়ামী সরকারের বিদায়: দুদু
সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবি’তে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: চলতি অক্টোবরের মধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হবে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, এই সরকার দানব সরকার। তারা পুলিশ প্রশাসনের কাধে ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। এটা অক্টোবর মাস। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি, এই অক্টোবরের মধ্যেই এ সরকারের বিদায় হবে। দেশে গণতন্ত্র, ভোটার অধিকার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবি’তে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, এই দিনই দিন নয় আরও দিন আছে, এটা যদি প্রধানমন্ত্রী মনে রাখেন তাহলে তার জন্য ভালো, আমাদের জন্য ভালো, দেশের জন্য ভালো এবং তার দলের জন্যও ভালো।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। যিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তার জীবনের কোন নির্বাচনে হারেননি। তার পরিবার থেকে তার সুচিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটাই প্রথম আবেদন না এর আগেও করা হয়েছিল। আমরা মনে করেছিলাম অসুস্থ নেত্রী, যিনি দেশনেত্রী, আপোষহীন নেত্রী তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের কোন ব্যবস্থা করবে সরকার। কিন্তু আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অফ আমেরিকার সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি দাম্ভিকতার সাথে এটা নাকচ করে দিয়েছেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করতে পারতেন। তিনি যেভাবে না করেছেন তাতে মনে হচ্ছে তিনি কোথায় যেন আতঙ্কিত। যেন হতাশ। তিনি বুঝতে পেরেছেন আর বেশিদিন ক্ষমতা থাকতে পারবে না। সেই বিবেচনায় তিনি একটি আপোষমুখী পদক্ষেপ নিতে পারতেন। কারণ আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এটা একজন অন্ধ যেমন জানে তেমনি বিবেকহীন মানুষও জানে। আগামী দিনে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, সময়ের ব্যর্থ সরকার হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বেকারদের চাকরি দিতে পারছে না। কোন জায়গায় আশার আলো নেই। চতুর্দিকেই অন্ধকার। এই সরকারকে বিদায় করা ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না। গণতন্ত্র মুক্ত হবে না। বাংলাদেশের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না।
এ সময় আরও আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রফিকুল ইসলাম রিপন, মোক্তার আখন্দ প্রমুখ।