জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন প্রয়োজন: খসরু
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে 'বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ন ও উন্নয়নে বহির্বিশ্ব বিএনপির ভুমিকা' শীর্ষক এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে 'বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ন ও উন্নয়নে বহির্বিশ্ব বিএনপির ভুমিকা' শীর্ষক এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকার তো দেশের মালিকানা নিজেদের হাতে নিয়েছিলো। দেশ আজ খাদের কিনারায়। সুতরাং জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন।
জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকায় দেশের এই সংকট। সংস্কার হলো একটা চলমান প্রক্রিয়া। আপনারা বিশেষ কিছু সংস্কার করতে চাইলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসুন। শুধু ৫/১০ জন বসে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা যায় না। সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। অতএব জনগণের কাছে যেতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, সরকারকে সহযোগিতা করছি, যাতে দেশ যত দ্রুত সম্ভব একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এর বিকল্প নেই। এর বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া করতে গেলে মানুষের মনে সন্দেহ ও ভিন্ন ধারণা তৈরি হবে। সেটা হবে অগণতান্ত্রিক। আমরা শেখ হাসিনার পতনের আগেই ৩১ দফা এবং ৭ বছর আগে "ভিশন-২০৩০" ঘোষণা করেছি। যা বাস্তবায়নে আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, আন্দোলনের সফলতা দেশের ১৮ কোটি মানুষের সফলতা। যার যার অবস্থান থেকে সকলের অবদান আছে। প্রবাসীদের ত্যাগ-অবদান রয়েছে। অনেকেই বলেছেন- প্রবাসীরা নিরাপদ জোনে থেকে আন্দোলন করেছে। কিন্তু তাদের পরিবার ও স্বজনরা বাংলাদেশে কিভাবে নিগৃহীত হয়েছেন আমরা জানি। বাংলাদেশের মতো এতো সহজে প্রবাসে আন্দোলন করা যায়না। স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বা বিশ্ব ব্যাংকের সামনে জমায়েত করা এতো সহজ না। তারপরও বিএনপির হাজার হাজার লোক রাজপথে আন্দোলন করেছেন। আমরা তাদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশ ও প্রবাসীদের কল্যাণে যা করা দরকার সেদিকে আমরা নজর রাখবো ইনশাআল্লাহ।
খসরু বলেন, অনেকেই আন্দোলনে অনেক পরে যোগ দিয়েছেন। তারা আমেরিকায় হোয়াইট হাউসের সামনে, ব্রাসেলস, জাপান, লন্ডন এবং অস্ট্রেলিয়ার আন্দোলন দেখেনি। পুরো আন্দোলন ড্রাইভ করেছে বিএনপি। এটা রেকর্ড থাকা দরকার।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাটের সভাপতিত্বে ও সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ জনি, মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টু, ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইমরানুল হক চাকলাদার, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান প্রমূখ।