২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা, জানুয়ারিতে নিহতের সংখ্যা ১৭
প্রথম নিউজ, ডেস্ক: দখলীকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় জেনিন এলাকায় ঘেরাও দিয়ে ২ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এ নিয়ে জানুয়ারিতে পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে প্রাণ হারালেন মোট ১৭ জন ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার জেনিন শরণার্থী শিবিরে তল্লাশি চালিয়ে তারা হত্যা করেছে ৬ সন্তানের পিতা ও স্থানীয় স্কুলের ৫৭ বছর বয়সী শিক্ষক জাওয়াদ ফরিদ বাওয়াকনেহ’কে। অন্যদিকে সশস্ত্র প্রতিরোধ গ্রুপ জেনিন ব্রিগেডের ২৮ বছর বয়সী যোদ্ধা আদম বাবারিনকে হত্যা করেছে তারা। নিহতদের নাম ও বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গোলার আঘাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে চারজন ফিলিস্তিনি।
স্থানীয় সাংবাদিক মুজাহিদ আল সাদি বলেছেন, বাওয়াকনেহকে হত্যা করা হয়েছে তার বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর। এ সময় গুলি খাওয়ার পর বাবারিনকে তিনি সহায়তায় এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ওই প্রতিরোধ যোদ্ধা যখন তার বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন, তখন তাকে চিকিৎসা দিতে গিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। কিন্তু রাড়ির সামনেই সরাসরি তার বুকে গুলি করে স্নাইপাররা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে। তিনি একটি টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই হত্যাকে ‘মৃত্যুদণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায় ইসরাইলি বাহিনী। কমপক্ষে ৭০টি সাজোয়া যান প্রবেশ করে সেখানে। এরপরই তারা ব্যাপক আকারে অভিযান ছালায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা পড়ে তারা সেখান থেকে সরে যায়। বিশেষ বাহিনী ওই ক্যাম্পে প্রবেশ করে পায়ে হেঁটে। বাড়ির ছাদে ছাদে অবস্থান নেয় স্নাইপাররা।
অভিযান শুরুর পর ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের লড়াই শুরু হয়। আল সাদি বলেছেন, সব দিক থেকে শরণার্থী ক্যাম্প ঘিরে ফেলে ইসরাইলি বাহিনী। তারা গ্রেপ্তার করেছে কমপক্ষে ৬ জনকে। এই অভিযানে তারা খালেদ আবু জয়নে’কে গ্রেপ্তার করতে চেয়েছে। আবু জয়নেহ হলেন গাজাভিত্তিক প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) নামের সশস্ত্র গ্রুপের নেতা।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: