সিরিয়া যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম সৌদি সফরে বাশার আল-আসাদ
বৃহস্পতিবার সৌদির বন্দরনগরী জেদ্দায় তিনি পৌঁছেছেন বলে সৌদির আল-আরাবিয়া টেলিভিশন ও সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিভিশনের খবরে জানানো হয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সিরিয়ায় এক দশকের বেশি সময় আগে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সফরে গেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। বৃহস্পতিবার সৌদির বন্দরনগরী জেদ্দায় তিনি পৌঁছেছেন বলে সৌদির আল-আরাবিয়া টেলিভিশন ও সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিভিশনের খবরে জানানো হয়েছে। ১১ বছরেরও বেশি সময় আগে আরব বিশ্বের আঞ্চলিক সংস্থা আরব লীগে সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর সদস্যপদ ফিরে পাওয়ায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শুক্রবার আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার সরকার ২০১১ সালে বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস দমন-পীড়ন চালায়। সহিংস সেই পরিস্থিতি পরবর্তীতে সিরিয়াকে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। পরে আরব বিশ্বের এই আঞ্চলিক সংস্থা থেকে সিরিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলের অন্যতম শক্তিধর দেশ সৌদি আরবে আসাদের আগমনকে আঞ্চলিক সম্পর্ক পুনর্স্থাপনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব দেশগুলোর প্রচেষ্টার সর্বশেষ উদাহরণ হিসাবে মনে করা হচ্ছে। আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ সৌদি আরব অতীতে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় আল-আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাতের লক্ষ্যে লড়াই চালানো সশস্ত্র বিরোধীগোষ্ঠীগুলোর প্রধান সমর্থক ছিল।
গত কয়েক মাস ধরে সিরিয়ায় চলমান সংঘাতের অবসানে দেশটির সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে রিয়াদ। এক দশকের বেশি সময়ের এই সংঘাতে দেশটিতে ৫ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আল-আসাদের সৈন্যরা তার প্রধান মিত্র রাশিয়া এবং ইরানের সহায়তায় দেশটির বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ করে। এই দুই মিত্রের সহায়তায় ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হন প্রেসিডেন্ট আসাদ।
২০০০ সালে আল-আসাদের পিতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল-আসাদ মারা যান। তার মৃত্যুর পর সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন বাশার আল-আসাদ। তখন থেকে আঞ্চলিক পরাশক্তি সৌদি আরবের সাথে সিরিয়ার সম্পর্ক অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। ২০১২ সালে সিরিয়ার সংঘাত যখন চরমে পৌঁছায়, সেই সময় দুই দেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর গত সপ্তাহে উভয় দেশ পুনরায় দূতাবাস খোলার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে।