সুন্দরবনে ৩ দিনেও অপহৃত ১৫ জেলের সন্ধান মেলেনি
মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবনের আলোরকোল শুঁটকি পল্লী থেকে মোবাইলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করে এতথ্য জানিয়েছেন ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

প্রথম নিউজ, বাগেরহাট: বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনে মান্দারবাড়িয়া এলাকা থেকে গত রবিবার রাতে বনদস্যুদের হাতে অপহৃত ১৫ জেলেকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে দুবলা ফিশারমেন গ্রুপ। মঙ্গলবার বিকেলে সুন্দরবনের আলোরকোল শুঁটকি পল্লী থেকে মোবাইলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন করে এতথ্য জানিয়েছেন ফিশারমেন গ্রুপের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ। সংবাদ সম্মলন শেষে জেলেদের উদ্ধার ও দস্যু দমনে দ্রুত অভিযান পরিচালনার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি ই-মেইলের মাধ্যমে প্রদান করেন। অস্ত্রসহ আটক ৩ বনদস্যুকে মঙ্গলবার দুপুরে শরণখোলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আলোরকোল কন্টিনজেন্ট কমান্ডার (সিসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ৩ দিনেও অপহৃত ১৫ জেলেদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় সুন্দরবনের দুবলা শুঁটকি পল্লীতে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। জেলে অপহরণের ঘটনায় দীর্ঘ ছয় বছর পর নতুন করে আবার বনদস্যু আতঙ্কে ভুগছেন দুবলার বিশেষ টহল ফাঁড়ির অধীনে শুঁটকি উৎপাদনকারী ৪টি চরের প্রায় ১২ হাজার জেলে ও তাদের মহাজনরা। অপহৃত জেলেরা হলেন, শাহআলম, আজাহারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আরাফাত হোসেন, আলমগীর হোসেন, শাহাজান গাজী, রাসেল, শাহজাহান ঢালী, হাফিজুর রহমান, শাহীনুর আলম, মতিয়ার সরদার, খান রফিক, রিপন মোড়ল, নুরে আলম ও নাথন বিশ্বাস। এদের বাড়ি খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
অপহৃত জেলেরা দুবলার আলোরকোল চরে অবস্থান নিয়ে সাগরে মাছ শিকার ও শুঁটকি প্রক্রিয়া কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এ ব্যাপারে বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, সুন্দবনের দুবলার চরের অপহৃত ১৫ জেলেদের উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ডসহ আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হবে।