স্ত্রী দরজা না খোলায় শ্বশুরবাড়ির সামনে আত্মহত্যা
প্রথম নিউজ, মাদারীপুর : মাদারীপুরের শিবচরে শ্বশুরবাড়ির সামনের একটি কাঁঠাল গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নাইম হোসেন সাইম মুন্সি (৩২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে শিবচর উপজেলার দক্ষিণ বহেরাতলা ইউনিয়নের সরকারেরচর গ্রামের শিকদার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার উজানি এলাকার মো. মোরশেদ মুন্সীর ছেলে।
পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে শিবচরের সরকারেরচর এলাকার মজিবর শিকদারের বাড়ির সামনে কাঁঠাল গাছে মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
মজিবর শিকদারের ছোট মেয়ে রুবিয়া আক্তার নিহত নাইমের দ্বিতীয় স্ত্রী। নাইম প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন রুবিয়াকে। প্রথম বিয়ের কথা জানাজানি হলে দ্বিতীয় স্ত্রীর চাপে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন তিনি। এরপর তাদের সংসারে বিভিন্ন সময় কলহ লেগেই থাকতো।
গত এক মাস ধরে বনিবনা না হওয়ায় স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন দ্বিতীয় স্ত্রী রুবিয়া। রোববার রাত ১১টার দিকে ব্যবসায়ী নাইম তার শ্বশুরবাড়ি শিবচরের বহেরাতলা দক্ষিণ ইউনিয়নের সরকারেরচর গ্রামে যান। সোমবার সকালে বাড়ির সামনে কাঁঠাল গাছে তার মরদেহ ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা।
নিহতের স্ত্রী রুবিয়া আক্তার বলেন, রোববার রাতে নাইম এসে আমাকে ফোন দেয়। ঘরের দরজা খুলতে বলে। আমি অভিমান করে দরজা খুলিনি। পরে সকালে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের মামা এমদাদ হোসেন বলেন, আমার ভাগনের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিয়ের পর থেকেই ঝগড়া লেগে ছিল। রুবিয়া আমার ভাগনেকে সবসময় মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে আসছিল। তার মৃত্যুর জন্য ওর স্ত্রীই দায়ী। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, শ্বশুরবাড়ির সামনের কাঁঠাল গাছ থেকে নাইম নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এফএ/এমএস