শীতের রাতে গাছের নিচে ঠাঁই হলো ৫ সন্তানের জননীর
নিজের সন্তানের ঘরে ঠাঁই হয়নি ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ফাতেমার। রাস্তার পাশে এক গাছের নিচে রাত পার করতে হয়েছে তাকে। শেরপুরের এই বৃদ্ধা নারীর করুণ অবস্থার কথা জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
প্রথম নিউজ, শেরপুর: নিজের সন্তানের ঘরে ঠাঁই হয়নি ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ফাতেমার। রাস্তার পাশে এক গাছের নিচে রাত পার করতে হয়েছে তাকে। শেরপুরের এই বৃদ্ধা নারীর করুণ অবস্থার কথা জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
চার ছেলে ও এক মেয়ের মা তিনি। ছেলে-মেয়েরা সবাই স্বাবলম্বী হওয়ার পরেও তাদের বাড়িতে জায়গা হয়নি তার। অসহায় মায়ের খবর রাখেন না কেউ। নকলা পৌরসভার কলাপাড়া এলাকার বড় বাড়ী সংলগ্ন গাছের নিচে ঠাঁই হয়েছে তার। দুই ছেলে সপরিবারে শালখা এলাকায় বসবাস করেন, এক ছেলে পরিবার নিয়ে ঢাকা থাকেন, অন্য এক ছেলে সপরিবারে নকলা পৌর শহরের কলাপাড়াতেই বাসবাস করেন। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তারা সবাই বাবার সম্পত্তির ভাগ বুঝে নিয়ে যে যার মতো স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার করছেন।
জানা যায়, বৃদ্ধা মাকে এক মাস করে দেখাশুনার চুক্তি হয় সন্তানদের মাঝে। কিন্তু পরে চুক্তি মোতাবেক কেউ মাকে রাখতে আগ্রহী না হলে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাই শীতের রাতে রাস্তার পাশে গাছের নিচে রাত কাটাতে হয়েছে বৃদ্ধা ফাতেমাকে। স্থানীয় আল-আমিন জানান, আমরা এই চাচিরে দেখি রাস্তার পাশে বস্তা নিয়ে বসে আছে। পরে তার কাছে জানতে পাই তার ছেলেরা বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। এই বিষয়টা দেখে খুব খারাপ লাগল ৭০ বয়সী চাচিরে এইভাবে রাস্তায় ফেলে রাখছে।
মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, বাবা-মায়ের প্রতি সম্মান সবার করা উচিত। মা আমাদের অনেক কষ্ট করে বড় করেন। আমাদের সকলের উচিত মা-বাবার দায়িত্ব নেওয়া। এইভাবে রাস্তার পাশে গাছতলায় পরে আছেন এ বৃদ্ধা। আমরা তার সন্তানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যপারে নকলা পৌরসভার কলাপাড়ার ফাতেমা ও তার ছেলেদের বাড়িতে গেলে ছেলেরা পালিয়ে যান। তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, আমরা বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তার ছেলে-মেয়েদের ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews