শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক পলিটেকনিক ইনস্ট্রাক্টর হুমায়ুন

 শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক পলিটেকনিক ইনস্ট্রাক্টর হুমায়ুন

প্রথম নিউজ, ঢাকা: কোটি টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) হুমায়ুন কবীরের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই অভিযোগে তার বাবা ও স্ত্রীর নামেও মামলা হয়েছে।

গত ৫ মার্চ সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহে পৃথক মামলা দুটি দায়ের করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন।রোববার (৯ মার্চ) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য জানায়।

এজাহারে সূত্রে জানা যায়, আসামি পেশায় একজন শিক্ষক। তার বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন আর স্ত্রী গৃহিণী। পেশাগত অবস্থান খুব একটা বড় পদে না হলেও ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে ৫১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমির মালিক হয়েছেন তিনি। যার বর্তমান বাজার মূল্য শতকোটি টাকার বেশি। এছাড়া তার অস্থাবর অনেক সম্পদ।

দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রথম মামলায় ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) মো. হুমায়ুন কবীর, তার স্ত্রী বেবি আলিয়া হাসনাত ও বাবা কাঠমিস্ত্রি মো. আলী হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরসহ দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৩ কোটি ৬ লাখ ১২ হাজার ১৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে এবং ১৫ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৮২৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ অভিযোগে দুদক আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৬(২) ও ধারা ২৭(১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ৪(২), ও ধারা ৪(৩) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় বেবি আলিয়া হাসনাত, তার স্বামী মো. হুমায়ুন কবীর ও তার শ্বশুর আলী হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার ৩৪৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।মো. হুমায়ুন কবীর ও তার স্ত্রীর বেবি আলিয়া হাসনাতের নামে মোট ৫১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমির দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য ১৪০ থেকে ১৫০ কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও মৌজা মূল্য অনেক কম।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মো. হুমায়ুন কবীরের নামে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে মোট ৪৪৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ জমি আছে। যার মধ্যে গাজীপুরের টঙ্গি পৌরসভায় ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ জমি বাদে সবই ময়মনসিংহ সদরের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার জমি।