শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় পঞ্চম হত্যা মামলা
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল ফারাবী এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে মো. সিফাত হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল ফারাবী এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার। এ সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর মডেল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। শুক্রবার মিরপুর মডেল থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে আদালতে নথি পাঠায়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি এসএম জাহিদ, স্বপন বেপারী, আলমগীর, যুবলীগ নেতা মাহবুব, সরোয়ার হোসেন, রেজাউল হক ভূঁইয়া বাহার, রুহুল আমিন, হুমায়ুন রশিদ জহির, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন বিপুল, জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক এমপি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার, মো. জিয়া, মো. জামান মিয়া, মো. মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাতনামা অনেকে।
তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর তার বিরুদ্ধে ঢাকায় দায়ের করা ষষ্ঠ মামলা এটি। এর মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৩ই আগস্ট একটি হত্যা, ১৪ই আগস্ট দুইটি এবং ১৫ই আগস্ট তিনটি মামলা করা হয়। এ ছয়টির মধ্যে পাঁচটি হত্যা ও একটি গুম-অপহরণ মামলা। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২০শে জুলাই রাজধানীর মিরপুর-১০ এর ৯৮ সেনপাড়া এমএস পাওয়ারের সম্মুখে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলন করছিলেন। সেই আন্দোলনে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। ওই সময় সিফাত হোসেন রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়।
বুলেট তার মাথার একপাশ দিয়ে ঢুকে অন্যপাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সিফাতের বাবা তার সন্তানের মরদেহ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরপালরদী গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়েছে।