লক্ষ্মীপুরে দায়ের কোপে বড় ভাই নিহত, ছোট ভাই আটক
বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি এলাকার দমদমা পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রথম নিউজ,লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর ছোট ভাইয়ের দায়ের কোপে বড় ভাই তোফায়েল আহমেদ ৫২) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ছোট ভাই হোসেন আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি এলাকার দমদমা পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন ও শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) জহিরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহত তোফায়েল একই এলাকার আজিজ উল্যা দফাদার বাড়ির মমতাজুর রহমানের ছেলে। তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে থাকলেও তারা ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই বাড়িতে থাকেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত হোসেন তার আপন ছোট ভাই। তিনি ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার এশার নামাজ পড়ে তোফায়েল স্থানীয় একটি দোকানে চা খেতে যান। সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় দমদমা দিঘিরপাড়ে হোসেন তার ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে তার দুই পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাদের সরিয়ে দেন৷ পরে হোসেন ঘরে চলে যায়। একপর্যায়ে চিৎকার দিতে দিতে বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে তোফায়েল মারা যান।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রায় তোফায়েল ও হোসেনের মধ্যে ঝগড়া হতো৷ বুধবার সকালে তোফায়েলের সঙ্গে হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগমের কথাকাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় হোসেন বাড়িতে এলে জেসমিন তার কাছে বিচার দেন। এসময় জেসমিন জানান, তোফায়েল তাকে মারধর করেন ও গলা টিপে ধরেন। এসব শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে দা নিয়ে ঘর থেকে বের হন হোসেন। পরে দা দিয়ে কুপিয়ে বড় ভাইকে হত্যা করেন তিনি। তোফায়েলের বোন হোসনেয়ারা বেগম জানান, তোফায়েল মানসিকভাবে অসুস্থ। তারপরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হোসেন তার স্ত্রীর কথায় প্ররোচিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি দুইজনেরই বিচার চেয়েছেন।
এদিকে, হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগম বলেন, তোফায়েল আমাকে লাঠি দিয়ে মেরেছে। গলা টিপেও ধরেছে। হোসেন বাড়িতে এলে আমি তাকে বলেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দায়ের গোড়ালি দিয়ে তোফায়েলের পায়ে আঘাত করে। হোসেন ঘরে আসার কিছুক্ষণ পর শুনি তোফায়েল মারা গেছে। বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসেছি। স্থানীয় ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছি। অভিযুক্ত হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews