Ad0111

ঢাবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলে দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশের বিরুদ্ধে।

ঢাবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ
দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলে দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশের বিরুদ্ধে। এমনকি হলের সিট ছেড়ে না দিলে তাদেরকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও সূর্যসেন হল ছাত্র সংসদের সাবেক সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম এবং থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলামকে তাদের সিনিয়ররা ঠুনকো অভিযোগে রুমে ডেকে নিয়ে রাতভর শারীরিকভাবে নির্যাতন ও হেনস্থা করে। উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাতউল্লাহ সিফাত ও তার সহপাঠী ইংলিশ ফর স্পিকারস অব আদার ল্যাঙ্গুয়েজস বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান অর্পণ এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। একইভাবে নির্যাতন চালানোর অভিযোগে এর আগেও এই দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

নির্যাতনের শিকার আরিফুল ইসলাম বলেন, রাত ১টার দিকে আমার এক ইয়ার সিনিয়র মাহমুদ অর্পন আর সিফাত উল্লাহ আমার ফোনে কল দেন। ঘুমের কারণে ফোন রিসিভ করতে না পারায় রুমে এসে তাদের রুমে যেতে বলে। পরে আমি ও তরিকুল রাত আড়াইটার দিকে তাদের রুমে (৩৫১) গেলে সিফাতউল্লাহ ও অপর্ণ আমাদের মারধর করে।

পরে আমি ও তরিকুল রাত আড়াইটার দিকে তাদের রুমে (৩৫১) গেলে সিফাতউল্লাহ ও অপর্ণ আমাদের মারধর করে। নির্যাতনের কারণ জানতে চাইলে ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী  জানান, তাদের জুনিয়র হয়েও হল সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এক ধরণের ক্ষোভ ছিল। সেই ক্ষোভ থেকে এবং রাজনৈতিক মিছিল মিটিংয়ে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেই পরিকল্পিতভাবে তাদের উপরে নির্যাতন চালায়। এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট প্রক্টর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান। তবে দফায় দফায় চেষ্টা করেও অভিযুক্ত কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানার জন্য হল প্রভোস্ট ও প্রক্টরের কাছে ফোন দিলে তারাও ফোন ধরেননি।

অভিযুক্তদের নেতা হলের উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও আসন্ন হল কমিটির পদপ্রত্যাশী ইমরান সাগর বলেন, ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আরেকজনের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠেছে। শারীরিকভাবে নির্যাতন প্রমাণিত হলে প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেব এবং বাস্তবায়নে সহযোগিতা করব। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাহিয়ান খান জয় দেশের বাইরে থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news