রাস্তায় স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেটালেন ছাত্রলীগ কর্মী, টাকা, স্বর্নালংকার ছিনতাই

রাস্তায় সাইড না দেওয়ায় ইমন হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর নেতৃত্বে তাদের পেটানো হয়। বর্তমানে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রাস্তায় স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেটালেন ছাত্রলীগ কর্মী, টাকা, স্বর্নালংকার ছিনতাই
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে রাস্তায় ফেলে স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। রাস্তায় সাইড না দেওয়ায় ইমন হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর নেতৃত্বে তাদের পেটানো হয়। বর্তমানে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ নাছিমা আক্তার সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের বাইশমারা ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার অফিস সহকারী। নাছিমা-সালাহ উদ্দিন দম্পতি একই ইউনিয়নের পশ্চিম সহিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত ইমন পৌরসভার লাহারকান্দি এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও ১২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

আহতরা জানান, বিকেলে কর্মস্থল থেকে নাছিমাকে নিয়ে স্বামী সালাহ উদ্দিন মোটরাসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। বাইশমারা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে ইমনও মোটরসাইকেলযোগে আসছিল। এ সময় তাকে সাইড না দেওয়ায় সালাহ উদ্দিনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এক পর্যায়ে ইমন তাকে কয়েকটি কিল-ঘুষিও মারে। পরে আশপাশের লোকজন এসে ঝগড়া থামিয়ে মীমাংসা করে দেয়। এতে ইমন শান্ত না হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে।

এদিকে সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার পথে ইমন মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের তাড়া করে। পরে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের নুড়ি গাছতলা এলাকায় গিয়ে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় ইমন ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন কিশোর তাদের ওপর হামলা করে। মুহূর্তেই তাদের রাস্তায় ফেলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।

নাছিমা আক্তার বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় আমাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমি শরীরে মারাত্মক ব্যাথা পেয়েছি। স্বামীর হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম হয়েছে। হামলাকারীরা আমার ব্যাগ থেকে ৬৮ হাজার টাকা, এক জোড়া কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে গেছে। নাছিমার ভাই জহির উদ্দিন বলেন, আমার বোন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অমানবিকভাবে ইমন তাকে মেরেছে। ইমন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১০-১৫ জনের বখাটে দল নিয়ে সে সব সময় চলাচল করে। নাছিমার কাছে ব্যাংকের টাকা ছিল। তারা হামলা চালিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে।

তবে চেষ্টা করেও ইমন হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি ছাত্রলীগ পরিচয়ে দিয়ে দলবদ্ধভাবে এলাকায় চলাফেরা করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল খালেককে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনাটি নিয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom