Ad0111

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দৃশ্যত ঢাকায় প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলেছে : দ্য হিন্দু

 বাংলাদেশে আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দৃশ্যত ঢাকায় প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। এর ফলে দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দৃশ্যত ঢাকায় প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলেছে : দ্য হিন্দু
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দৃশ্যত ঢাকায় প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলেছে : দ্য হিন্দু

প্রথম নিউজ, ডেস্কবাংলাদেশে আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দৃশ্যত ঢাকায় প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। এর ফলে দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রতিবাদ জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারকে তলব করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দুর এক সম্পাদকীয়তে এ কথা বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্রেসি সামিটের শুরুর সময় এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রেজারি বিভাগ। ওই সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি থেকে বলা হয়েছে, বিভিন্ন এনজিও অভিযোগ করেছে ২০০৯ সাল থেকে র‌্যাব এবং বাংলাদেশের অন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কমপক্ষে ৬০০ মানুষ গুমের জন্য দায়ী। ২০১৮ সাল থেকে প্রায় ৬০০ মানুষকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হয়েছে এবং নির্যাতন করা হয়েছে। এ ছাড়াও রিপোর্ট আছে যে, এসব নির্যাতনে টার্গেট করা হয়েছে বিরোধীদলীয় সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের। এর প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস একাউন্টেবলিটি অ্যাক্টের অধীনে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যৌথবাহিনী র‌্যাব। র‌্যাবকে যে ম্যান্ডেট দেয়া হয় তার অধীনে আছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সরকার নির্দেশিত তদন্ত করা- বিশেষত বাংলাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংক্রান্ত নীতি। তবে র‌্যাবের বিরুদ্ধে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ আছে। এর প্রেক্ষিতে আইনের শাসন, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং মৌলিক স্বাধীনতাকে খর্ব করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হুমকিতে রয়েছে বলে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সর্বশেষ দফায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশের র‌্যাবই নয়, অন্য অনেক দেশের সংগঠন ও সরকারি কর্মকর্তারাও রয়েছেন। সিনজিয়াং-এ সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর চীন নির্যাতন চালাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এ দফায় সেখানকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার অবৈধ অস্ত্রবাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা এবং তাদের সাহায্য করা রুশ প্রতিষ্ঠানকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। তামিলদের ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগে শ্রীলঙ্কার দুই সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার অধীনে আছে মিয়ানমারের একাধিক রাজ্যের সরকার প্রধানরাও।

নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এর কার্যকারিতা নিয়ে এখন প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। আবার যুক্তরাষ্ট্রেও আফ্রিকান-আমেরিকানসহ অন্য সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অত্যন্ত স্বাভাবিক। ফলে দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশকে মানবাধিকারের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার নৈতিক অধিকার রাখে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে, দক্ষিণ এশিয়ার আইন রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর অনেক সদস্যের মধ্যে অতি উৎসাহী হয়ে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করতে দেখা যায়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে যদি তাদের এমন আচরণের লাগাম টেনে ধরা যায়, তাহলে তাকে স্বাগত জানানো হবে। 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news