ময়মনসিংহে চাঁদা না পেয়ে মাছচাষির ওপর হামলা

আহত মাছচাষি ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ময়মনসিংহে চাঁদা না পেয়ে মাছচাষির ওপর হামলা

প্রথম নিউজ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় চাঁদা না পেয়ে আলমগীর হোসেন নামে এক মাছচাষির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মাছচাষি ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় বিকেলে ভুক্তভোগীর ছেলে মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

আহত আলমগীর হোসেন বলেন, গত দুই বছর আগে রামচন্দ্রপুর মৌজায় প্রায় দুই একর জমিতে চারটি পুকুর কেটে মাছ চাষ শুরু করি। এখানে মাছের প্রজেক্ট করার পর থেকে স্থানীয় আবুল হাসিম ও তার বাহিনীর লোকজন আমার কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা দাবি করে আসছিল। গত এক সপ্তাহ আগে হাসিম বলেছিল- এক লাখ টাকা না দিলে এখানে মাছ চাষ করতে দেবে না। আমাকে মারধর করবে।

এরই প্রেক্ষিতে আজ সকালে আমি আমার মাছের প্রজেক্টে গেলে সেখানে আবুল হাসিম, মোসলেম উদ্দিন ও ফক্কর আলীসহ আরও বেশ কয়েকজন এসে আমার কাছে নির্ধারিত চাঁদা এক লাখ টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রথমে হাসিম আমাকে ধাক্কা দিয়ে ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। তারপর হাসিম, মোসলেম ও ফক্কর মিলে কিলঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে হাশিম তার কোমর থেকে একটা ছুরি বের করে আমাকে জবাই করতে উদ্যত হয়। আমি তখন চিৎকার করলে বাড়ি থেকে আমার ছোট ছেলে মাসুদ ও আশপাশের ধান কাটা শ্রমিকরা এসে আমাকে রক্ষা করে।

ভুক্তভোগীর ছেলে মাহমুদুল হাসান বলেন, আমার বাবা হার্টের অপারেশন করা রোগী। চাঁদার দাবিতে আমার বাবাকে হাসিম বাহিনী মারধর করেছে। আমি এর বিচার চাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমীন বলেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন খুবই নিরীহ ও সরল মানুষ। তার ওপর হামলার বিষয়টি নিন্দনীয়। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।' এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom