মিয়ানমারে ঝোড়ো বাতাস, ভেঙে পড়ল মোবাইল টাওয়ার

মহাপ্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে মিয়ানমারে

মিয়ানমারে ঝোড়ো বাতাস, ভেঙে পড়ল মোবাইল টাওয়ার



মহাপ্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে মিয়ানমারে। রোববার (১৪ মে) দেশটির রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিট্যুয়েতে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। ওই সময় বাতাসের গতি এতই বেশি ছিল যে— একটি আস্ত মোবাইল টাওয়ার বাতাসের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে।

মিয়ানমারেরর আবহাওয়া দপ্তর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জানিয়েছিল, ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের বেশির ঝড়ো হাওয়া নিয়ে রাখাইনের সিট্যুয়ের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি এগিয়ে আসছে। ওই সময় সংস্থাটি আরও জানিয়েছিল, সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সিট্যুয়ে থেকে ঝড়টি ৮০ মাইল দক্ষিণ-পূর্ব, মুংডো থেকে ৮৫ মাইল দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং রাখাইনের কাইয়াফ্যু থেকে ১০০ মাইল পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের পর যখন ঘূর্ণিঝড়টি সিট্যুয়েতে আঘাত হানে তখন এর প্রভাবে গাছা-পালা উপড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এমনকি বাতাসের তীব্র গতির কারণে বাড়ি-ঘরও কেঁপে ওঠে।

রোববার সকাল থেকেই মোখার প্রভাবে সিট্যুয়ে ও দক্ষিণে থান্ডওয়ে শহরে প্রবল বাতাস ও বৃষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে প্রবল ঝড়ের আশঙ্কায় দেশের বহু এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মিয়ানমার। এছাড়া দেশটির উপকূলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক মানুষকে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখার ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কায় মিয়ানমারের উপকূলের আশপাশের এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

ইরাবতী আরও জানিয়েছে, রাখাইনের সিট্যুয়ের পাশাপাশি কিয়াউকফিউ, মংডু, রাথেদাউং, মাইবোন, পাউকতাও এবং মুনাং শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা। এছাড়া এই শহর ও এলাকাগুলোতে একই সতর্কতা জারি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা-বিরোধী বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার।