মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে চাকরি হারালেন যুবক
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : লিওনেল মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। মেসিকে সামনে দেখে ছুটে গিয়েছিলেন তার কাছে। নিয়েছিলেন একটি অটোগ্রাফ। এতেই নিজের চাকরিটা হারাতে হয়েছে ক্রিস্টিয়ান সালামাঞ্চা নামে এক কলম্বিয়ান যুবকের।
এ ঘটনা ইন্টার মায়ামির সবশেষ ম্যাচের। ঘরের মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে লিগস কাপের সেই ম্যাচে অরল্যান্ডো সিটির মোকাবিলা করেন মেসিরা। সেই ম্যাচের সময় স্টেডিয়াম এলাকায় ক্লিনারের কাজ করছিলেন ত্রিশোর্ধ্ব সালামাঞ্চা।
চুক্তি অনুযায়ী, সেদিনই ছিল তার চাকরিতে প্রথম দিন। কিন্তু নিয়ম ভেঙে মেসির অটোগ্রাফ নেওয়ায় শুরুর দিনেই চাকরি হারালেন তিনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আর্জেন্টাইন দৈনিক লা নাসিওনকে সালামাঞ্চা বলেন, ‘যেখানে বাস পার্ক করে, সেখানে আমাকে বাথরুম পরিষ্কার করতে হয়েছিল।
সৌভাগ্যবশত, আমি যখন সেখানে গিয়েছিলাম, তখন বাসটা এসেছিল এবং সব খেলোয়াড় বেরিয়ে আসছিলেন। সবার শেষে বেরিয়ে আসেন মেসি।
সালামাঞ্চা বলেন, ‘তাকে চিৎকার করে বললাম— ‘এই যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন!’ শুনে তিনি ফিরে তাকালেন। আমি ওপরের ইউনিফর্মটি ওপরে তুলে ধরি, যার নিচে আর্জেন্টিনার জার্সি ছিল এবং আমার সঙ্গে একটা মার্কারও ছিল। তিনি আমাকে অটোগ্রাফ দিলেন।’
চাকরি হারালেও মেসির অটোগ্রাফ পেয়ে বেজায় খুশি ক্রিস্টিয়ান সালামাঞ্চা। তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তারক্ষীরা সেখানে চলে এলেন। তারা আমাকে বাইরে নিয়ে গেলেন এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেন। কিন্তু এর প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান ছিল।’
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে যারা কাজ করেন, তাদের সবাইকে পেশাদার আচরণ বজায় রাখতে বলা হয়। ক্লাবের কর্মী হোক কিংবা বাইরের কোনো কোম্পানির নিয়োগ করা কর্মী হোক, সবার জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য।
তাদের বলা হয়, মাঠে আসা কোনো খেলোয়াড়কে বিরক্ত করা যাবে না। এখানে বিরক্ত বলতে বোঝানো হয়েছে, খেলোয়াড়দের কাছে গিয়ে সেলফি তোলা, অটোগ্রাফ চাওয়া ইত্যাদি।