মির্জা ফখরুলকে আদালতে নেয়া হয়েছে
এর আগে সকাল ৯টার দিকে ফখরুলের গুলশানের বাসার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাত আটটার দিকে তাকে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়। শনিবারের সমাবেশে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টার দিকে ফখরুলের গুলশানের বাসার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাকে বাসা থেকে মিন্টোরোডের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। দিনভর তাকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যার পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ডিবির যুগ্ম কমিশনার সনজিৎ কুমার সরকার মানবজমিনকে বলেন, পল্টন থানার পুলিশ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় আসে। তারা ফখরুল বাসার সবার সঙ্গে কথা বলে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ হার্ড ডিস্ক নিয়ে ভবনের নিচে চলে যায়। দশ মিনিট পর আবার ফিরে এসে ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছিল।
এভাবে নিয়ে যাবে মেনে নিতে পারছি না। এর আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না।
পরে ওই দুই নেতার বাসায় ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারী কেরানিগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা দুজনই মুক্তি পান।