মাদারীপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

মাদারীপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

প্রথম নিউজ, অনলাইন: মাদারীপুরের কালকিনিতেই পরীক্ষা কেন্দ্র রাখার দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা ১১ টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের জেলার কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটায় এ কর্মসূচি পালন করে কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে প্রায় ৪ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হলে ভোগান্তিতে পড়েন দূর-দূরান্তের যাত্রীরা।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ডাসার উপজেলায় হয়ে আসছে। কিন্তু ডাসার উপজেলার পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ডাসারেই হয়। এতে নিজ উপজেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র না থাকায় সময় অপচয়, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ও ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তাই কালকিনিতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র রাখার দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন পরীক্ষার্থীরা।

গেল ১০দিন ধরে প্রশাসন তাদের আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ তাদের। তাই পূর্বে ঘোষণা দেয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ব্যানার-ফ্যাস্টুন হাতে নানান স্লোগান দেন তারা। এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়কে যান চলাচল। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে দুপুর ১২টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, তাদের দাবি মেনে না নিলে আগামীতে স্থায়ীভাবে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন শিক্ষার্থীরা।

কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী সামি বলেন, আমাদের বার বার শুধু আশ্বাস দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি না দেখলে আমরা আবারো এই কার্যক্রম চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দিব। বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন রাতুল বলেন, আমাদের উপজেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। আমরা কিছুতেই অন্য উপজেলায় গিয়ে পরীক্ষা দিব না।

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অধিদফতর ও মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।