মিচেল ক্লাইম্যাক্স, অবশেষে সেরার পুরস্কার

 মিচেল ক্লাইম্যাক্স, অবশেষে সেরার পুরস্কার
মিচেল ক্লাইম্যাক্স, অবশেষে সেরার পুরস্কার

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : রিকোয়ার্ড রেট ৯ এর ওপরে, অথচ ড্যারিল মিচেল ব্যাটিং করছিলেন ওয়ানডের মতো। মিচেলের এমন ব্যাটিং দেখে অনেক কিউই সমর্থকও হয়তো টিভি অফ করে চলে গিয়েছিলেন। মিচেল হয়তো তখন মুচকি হেসে বলছিলেন, ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়।’ 

শেষ মুহূর্তের ক্লাইম্যাক্সে ৫ উইকেটে জিতে নিউজিল্যান্ড উঠে গেলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। ৪৭ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন মিচেল।

১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ ওভারের মধ্যেই ১৩ রানে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। রিকোয়ার্ড রেটও বাড়ছিল পাল্লা দিয়ে; কিন্তু মিচেলকে তাও টলাতে পারেনি। একপ্রান্ত ধরে রেখে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে যাচ্ছিলেন তিনি। 

মাঝেমধ্যে দুই একটা বাউন্ডারি মারলেও মিচেল সিঙ্গেলসই নিচ্ছিলেন বেশি। তবে জিমি নিশাম উইকেটে আসার পরই যেন চিত্রটা পুরোপুরি পাল্টে যায়। নিশাম ঝড় তোলার সঙ্গে সঙ্গে মিচেলের সাহস বেড়ে যায়। তার নিজের চারটি ছক্কার তিনটিই হাঁকান শেষের দিকে এসে। 

আর ‘ফিনিশিং টাচটা’ও দেন এই মিচেলই। ১৯তম ওভারের শেষ বলে ক্রিস ওকসের ফুলটসকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে দুবাইয়ের টিকিট কেটে ফেলেন এই ডানহাতি কিউই ব্যাটার। 

৪৭ বলে তার খেলা অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসটির পর ম্যাচ সেরা বাছাই করতে বিচারকদের সম্ভবত দ্বিতীয়বার আর ভাবতে হয়নি। তিনিই জিতলেন সেরার পুরস্কার।

২০১৯ লর্ডস ফাইনাল মিচেল সরাসরি দেখেছিলেন কি না জানা নেই। তবে যদি দেখেও থাকেন, তাহলে হয়তো ইংলিশদের এখন বলছেন, ‘অতীত তো অতীতই। এবার তো আমরা তোমাদের হারিয়েছি।’