ভোট চুরির প্রকল্পের কোনোটাই বাকি রাখেনি সরকার: আমীর খসরু

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত হবিগঞ্জ পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়ালকে দেখতে যান তিনি।

ভোট চুরির প্রকল্পের কোনোটাই বাকি রাখেনি সরকার: আমীর খসরু

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বর্তমান সরকার ভোট চুরির প্রকল্পের মধ্যে কোনোটাই বাকি রাখেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আবারো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়া এবং শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ভোট চুরির প্রকল্পের মধ্যে কোনোটা বাকি নেই। সবাইকে ঢুকিয়ে ফেলেছে। কেউ বাদ যাচ্ছে না। সুতরাং এদেরকে বিদায় করতে হবে। তাদের বিদায়ের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। 

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত হবিগঞ্জ পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়ালকে দেখতে যান তিনি। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, বিরোধী দল প্রতিবাদ করতে পারবে না। তাদেরকে গুলি করা হবে। তারা যখন রাস্তার পাশে কোনো বাড়িতে আশ্রয় নিবে সেখানে ঢুকে দরজা ভেঙে গুলি করতে হবে। সরকারের অবস্থান কি সেই পর্যায়ে গেছে? এখন মনে হচ্ছে সরকারের অবস্থান সেই পর্যায়ে গেছে। তাদের মধ্যে কিসের ভয় যে, সাধারণ নাগরিকরা প্রতিবাদ করতে পারবে না? প্রতিবাদ করতে গেলে বাড়িতে দরজা ভেঙে তাদেরকে গুলি করতে হবে! তাহলে কোন দেশে আমরা বসবাস করি?

হামলা-গুলি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা বিদেশিদের কাছে বলবো কেন? তারা নিজেরাই দেখছে। তাদের প্রতিনিধি আছে। দূতাবাস আছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো আছে। বিশ্ব তো এখন আগের মতো নেই। এখন ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্ব জেনে যায়। আজকে সারা বিশ্ব কেন বাংলাদেশের মানবাধিকার, নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে? কারণ পুলিশের যে আচরণ, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যে বক্তব্য তাতে প্রমাণিত হয় যে, এদের অধীনে তো নিরাপত্তা মিলবে না। নির্বাচন তো দূরের কথা। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা যেখানে নেই সেখানে নির্বাচন পরের কথা। বাংলাদেশের পুলিশ বাংলাদেশের নাগরিকের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গুলি করছে। এটা কিসের পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে। আসলে একটা দেশের বিচার বিভাগ হলো সবচেয়ে নিরপেক্ষ। কিন্তু কোনো দেশের বিচার বিভাগ যখন মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আসে, বিচারকরা যখন রাজনৈতিক বক্তব্য দেন তখন সে দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে সাধারণ মানুষের ধারণা কি হবে? বহির্বিশ্বের ধারণা কি হবে? আজকে বিশ্বের ১৭৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি না করতে বিবৃতি দিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।