বেড়েছে ডিম-আলুর দাম, সুখবর নেই পেঁয়াজে

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল-ডাল ও চিনির দাম।

বেড়েছে ডিম-আলুর দাম, সুখবর নেই পেঁয়াজে

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ঢাকাসহ সারাদেশে বেড়েছে ডিম-আলুর দাম, সুখবর নেই পেঁয়াজে। রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। সে সঙ্গে বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন, আলু ও মুরগির দাম। তবে দাম কমেছে টমেটো, গাজর, মুলা ও বেগুনসহ কিছু সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল-ডাল ও চিনির দাম।

নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ (পুরাতন) বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা। তবে বাজারে আসা নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৩৮-৩৯ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কার্ডিনাল আলু ৪৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা, শিম ৫৫-৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৭৫ টাকা এবং বাজারে আসা নতুন গ্রানুলা আলু ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা, দেশি আদা ২৩০-২৪০ টাকা, ভারতীয় আদা ২২০-২৪০ টাকা, প্রতিকেজি টমেটোর দাম কমে ৭০-৮০ টাকা, গাজর ১১০-১২০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা, চিকন বেগুন ২০-২৫ টাকা, মাঝারি সাইজের বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, করলার দাম কমে ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৩৫-৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১২-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতি-পিস লাউ (আকারভেদে) ৩৫-৪৫ টাকা, ধনেপাতা ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালির দাম ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা, ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা, মুলা ৮-১০ টাকা, দেশি রসুনের দাম বেড়ে ২৮০-৩০০ টাকা ও ভারতীয় রসুন ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি ১৫ থেকে ২৫ টাকা।

মুলাটোল বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহিন মিয়া বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমলেও অন্যান্য সবজির দাম চড়া। পুরাতন দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা ঊর্ধ্বে। নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করলেও সরবরাহ কম। আরও সপ্তাহ খানেক পর হয়তো পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। তবে আলু ও ডিমের বাজার ঊর্ধ্বমুখী।

মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম বেড়ে ২৯০-৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস আগের মতোই ৬৫০-৭২০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, মুরগির দাম দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় ১০-২০ টাকা বেড়েছে। খামার থেকে মুরগি বেশি দামে কিনলে খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭০ টাকা, দুই লিটার ৩৫৮-৩৬০ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা, পাইজাম ৫৩-৫৫ টাকা, জিরাশাইল ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮ ৬৩-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা ও নাজিরশাইল সামান্য কমে ৭৮-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫-৬০ টাকা ও খোলা আটা ৫৫ টাকা, ছোলাবুট ৯৫-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৫০-১৬০ টাকা এবং বুটডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।