বৃহদন্ত্রের ক্যান্সারে কী করবেন?
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : বৃহদন্ত্রের ক্যান্সার একটি জটিল রোগ। সঠিক চিকৎসা না নিলে এই রোগে বহু কষ্ট করতে হয়। অনেক সময় মৃত্যুও হয়।
মলাশয়ের ক্যান্সার সাধারণত পায়ুপথে রক্তক্ষরণ এবং মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। মলত্যাগের বেগ এলে রোগী তড়িঘড়ি করে টয়লেটে যায় ও শ্লেষ্মাযুক্ত রক্ত মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসে। পায়ুপথে রক্তক্ষরণ, মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন, কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পাতলা পায়খানা উপসর্গগুলো যে ক্যান্সারেরও উপসর্গ সেটা অনুধাবন করতে রোগীর অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে।
বৃহদন্ত্রের ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক।
রেক্টাম বা মলাশয় এবং কোলন অথবা বৃহদন্ত্রের ক্যান্সারের জন্য ল্যাপারস্কপি পদ্ধতিতে অপারেশনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেট না কেটে ও মলদ্বার অপসারণ না করে ক্যান্সারটি সম্পূর্ণরূপে ব্যবচ্ছেদ করে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হয়।
আগের দিনে সচরাচর পায়ুপথ বা মলদ্বার ফেলে দিয়ে পেটের ডান বা বাঁয়ের যে কোনো একপাশে কৃত্রিম মলদ্বার বানিয়ে সেখানে ব্যাগ লাগিয়ে দেয়া হতো। মল ওই ব্যাগে জমা হতো এবং রোগীকে সময়মতো মাঝে মাঝে ব্যাগ পরিষ্কার করে নিতে হতো। এ স্থায়ী ব্যাগ লাগানো অনেক রোগীর কাছে অগ্রহণযোগ্য, সামাজিকভাবে অমর্যাদাপূর্ণ, অরুচিসম্মত হিসেবে গণ্য করে এবং সে পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবেই হোক রোগী স্থায়ী ব্যাগ পরিহার করার চেষ্টা করে।
মলাশয় অথবা মলদ্বারের সাধারণ অসুখ যেগুলো ক্যান্সারের মতো মারাত্মক নয় যেমন- ফিশার, পাইলস, ইত্যাদির উপসর্গ এবং ক্যান্সারের উপসর্গ একই রকম হতে পারে। রোগীর ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা এবং কলনস্কপি ও বায়োপসি করে রোগ নির্ণয়ের পর সিটি এবং এমআরআই দ্বারা স্টেজিং করার পরই চিকিৎসা প্রণালি নির্ধারণ করে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: