বরিশালে নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ নেই: রুপন
আজ রোববার (১১ জুন) দুপুরে কালুশাহ সড়ক তার নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে এই অভিযোগ করেন।
প্রথম নিউজ, বরিশাল : বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন অভিযোগ করেছেন নির্বাচনের কোনো স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। আজ রোববার (১১ জুন) দুপুরে কালুশাহ সড়ক তার নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে এই অভিযোগ করেন।
রুপন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বহিরাগত নগরীতে এনে রেখেছেন। কালো টাকার ছড়াছড়ি চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা, বস্তিতে টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন। এর অসংখ্য প্রামণ, ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।
বরিশালের ভোটার যারা তারাইতো বরিশালে থাকার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন থানা, জেলা, পৌরসভার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বরিশাল সিটিতে অবস্থান করছেন। বহিরাগতদের কারণে বরিশাল শহরে যানজট লেগে আছে।
এই মেয়র প্রার্থী বলেন, এত বহিরাগত নগরীতে এনে সরকার সমর্থকরা কি করতে চাচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। নির্বাচন কমিশনের কথা ও কাজে কোনো মিল নেই। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি আমার কোনো কথাও শোনেনি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত আমার পাঁচজন কর্মীকে হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার করেছে।
২৮ মে নির্বাচন অফিসে সশরীরে হাজির হয়ে বলেছিলাম ৩০টি ওয়ার্ডে সরকার দলীয় প্রার্থীর ৩০০ কার্যালয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা তখন বলেছেন, লিখিত অভিযোগ দেওয়া লাগবে না। দুই দিনের মধ্যে কার্যালয় সরানো হবে। কিন্তু তার কোনো পদক্ষেপ নেননি নির্বাচন অফিস। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রশাসন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। আমি চাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে কথা বলেছেন তেমনি সুষ্ঠু ভোট দেবেন। সুষ্ঠু ভোট দিলে আমার জয় নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ১৬৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৭ জন মেয়রপ্রার্থী। যার মধ্যে বিভিন্ন কারণে আলোচিত সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রুপন। এবার নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন। ভোট পর্যবেক্ষণে ১১৪৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চার হাজার ৪০০ পুলিশ, আনসার, এপিবিএন, র্যাব দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।