ব্যালন ডি অর: শতাব্দির সেরা হয়েও তালিকায় কেন নেই পেলে ও ম্যারাডোনা

ব্যালন ডি অর: শতাব্দির সেরা হয়েও তালিকায় কেন নেই পেলে ও ম্যারাডোনা

প্রথম নিউজ,  স্পোর্টস ডেস্ক: সেই ১৯৫৬ সালে শুরু। তারপর থেকে প্রতিবছর নিয়মিত ব্যালন ডি অর পুরস্কার দিয়ে আসা হচ্ছে। নাম বদলেছে, পুরস্কারের পরিধি বদলেছে। কিন্তু ফুটবলারদের পরম কাঙ্খিত এই পুরস্কারের কোনো বিরতি নেই। একবারই মাত্র এ পুরস্কার দেওয়া হয়নি। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খেলাধূলা বন্ধ থাকায় ২০২০ সালে এ পুরস্কার দেওয়া হয়নি।

১৯৫৬ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত মোট ৬৭বার এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। লিওনেল মেসিই একাই জিতেছেন আটবার। মেসি যেমন সবার উপরে দেশ হিসেবে আর্জেন্টিনাও সবার উপরে। দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশে আটবার ব্যালন ডি অর গেছে। ব্রাজিলে গেছে চারবার। কিন্তু এই দুই দেশের তো বটেই বিশ্ব ফুটবলের দুই কিংবদন্তী পেলে এবং ম্যারাডোনা কেউই এ পুরস্কার জিততে পারেননি। ব্যালন ডি অর তালিকায় তাদের কারোরই নাম নেই। অথচ গত শতাব্দির দুই সেরা খেলোয়াড় তারা। তাহলে?

সেরা খেলোয়াড় হলেও পেলে ও ম্যারাডোনার এ পুরস্কার পাওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না। ১৯৫৬ সালে শুরু হওয়া ব্যালন ডি অর পুরস্কারের প্রথমটি পেয়েছিলেন স্ট্যানলি ম্যাথুজ। মূলত সে সময় এ পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। অন্য দেশের কোনো খেলোয়াড় ইউরোপে খেললেও তাদেরকে এ পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হতো না। বর্তমানে যেমন মেসি খেলছেন। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার জাতীয়তা নিয়ে ইউরোপে খেলেছেন। আগে অন্য মহাদেশের খেলোয়াড়দের এ তালিকায় আসার সুযোগ ছিল না।

পেলে ১৯৫৬ সাল থেকে ক্লাব ফুটবলে খেলা শুরু করেন। পরের বছরই জাতীয় দলে অভিষেক। তার ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে পার হয়েছে। ফলে তিনি কখনোই ব্যালন ডি অর জয়ী তালিকার জন্য বিবেচিত হননি।

ম্যারাডোনার ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু ১৯৭৬ সালে। ১৯৮২ সালে তিনি স্পেনের বার্সেলোয় যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে নাপোলিতে খেলে বড় ক্লাবে খেলার ইতি টানেন। ম্যারাডোনারও ব্যালন ডি অর জয়ের সুযোগ ছিল না কেননা ১৯৯৫ সাল থেকে ইউরোপে খেলা সব খেলোয়াড়ের জন্য ব্যালন ডি অর উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে ম্যারাডোনাও এ পুরস্কারের জন্য কখনো বিবেচিত হননি। আগের নিয়ম এখনো বজায় থাকলে মেসি নয় সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি অর জয়ী তালিকায় সবার উপরে থাকতেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।