বানের জলে ভেসে যাওয়া দাদা-নাতির মরদেহ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকা থেকে দাদা আবু সৈয়দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই স্থান থেকে বুধবার (৯ আগস্ট) নাতি আনাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

বানের জলে ভেসে যাওয়া দাদা-নাতির মরদেহ উদ্ধার

প্রথম নিউজ, চট্রগ্রাম: চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া দাদা আবু সৈয়দ (৮৩) ও তার নাতি আনাসের (১০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকা থেকে দাদা আবু সৈয়দের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই স্থান থেকে বুধবার (৯ আগস্ট) নাতি আনাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার বন্যার পানিতে বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন দাদা-নাতি।ওইদিন দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকায় পানির স্রোতে ভেসে যান তারা। কিছুক্ষণ পর আনাসের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও বৃহস্পতিবার সকালে তার দাদা আবু সৈয়দের মরদেহ পাওয়া যায়।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে দাদা-নাতি নিখোঁজ হয়েছিলেন। বুধবার নাতির মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। একই এলাকায় আজ দাদার মরদেহ পাওয়া যায়। 

এর আগে গত মঙ্গলবার লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের জনকল্যাণ এলাকা থেকে জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন বুধবার একই উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের চুনতিপাড়া এলাকার আসহাব মিয়া (৬৫) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ চট্টলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া বুধবার বিকেলে সাতকানিয়া পৌরসভার মির্জাখীলের বার্মা মার্কেট এলাকা থেকে তানভীর উদ্দিন (২০) নামে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

টানা ভারী বর্ষণ এবং সাংগু নদী, ডলু নদী ও হাঙ্গর খাল দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলায় গত সোমবার থেকে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ পানিতে তলিয়ে দুই দিন যান চলাচল বন্ধ থাকে। তবে তিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো পানি রয়েছে।