বিজয় দিবসের খাবার নিয়ে কুবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রথম নিউজ, কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বিজয় দিবস উপলক্ষে খাবার বিতরণ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে এ ঘটনা ঘটে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে খাবারের আয়োজন করা হয়, যা বণ্টনের দায়িত্ব পায় ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগ। খাবার বণ্টন কেন্দ্র করে একপর্যায়ে যা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও মারধরের মতো ঘটনায় রূপ নেয়। কুবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ থাকায় প্রায়ই এমন ঠুনকো ঘটনা কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে আন্তঃকোন্দলে জড়ায় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর ২টার দিকে খাবার বণ্টনের দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক শান্ত গ্রুপ ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে বিকেল ৪টার দিকে শান্ত গ্রুপ সমর্থিতরা এনায়েত গ্রুপের রবিন দাশকে মারধর করেন।
খবর পেয়ে এনায়েত গ্রুপে কর্মীরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় তারা হলের পঞ্চম তলায় পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, হলের আবাসিক শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ মারামারি স্বীকার করে জানান, সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে এমনটা হয়েছে। এটি ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের কোনো ঝামেলা না।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক শান্ত বলেন, এটা রাজনৈতিক বিরোধ নয়। যারা মারামারি করেছে দুই পক্ষেই আমার অনুসারী। বাকবিতণ্ডার কারণে ঘটনা এতদূর গড়িয়েছে। হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, হলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তদন্ত করে প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে জমা দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।