বাজেটে শিশুরাই উপেক্ষিত
প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও শিশুরাই উপেক্ষিত বাজেটে। পরপর চার বছর শিশু বাজেট ঘোষণা করেনি সরকার।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২০ সালের মধ্যে বাজেটে শিশুদের জন্য অন্তত ২০ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু তিন বছর পার হলেও বাজেটে নেই শিশুদের জন্য বিশেষ সুখবর। প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও শিশুরাই উপেক্ষিত বাজেটে। পরপর চার বছর শিশু বাজেট ঘোষণা করেনি সরকার।
গত ১ জুন জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীনদের টানা ১৫তম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শীর্ষক সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেটে শিশুকেন্দ্রিক বাজেট উপস্থাপন করেননি অর্থমন্ত্রী। মোট জনগোষ্ঠীর সাত কোটি শিশুর বাংলাদেশে এবারও শিশুকেন্দ্রিক অর্থ বরাদ্দের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়নি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে প্রথম বাজেট ছিল সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার। এরপর গণতান্ত্রিক, সামরিক, তত্ত্বাবধায়ক সরকার মিলে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ৫২ বার বাজেট ঘোষণা হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ২৪তম বাজেটে শিশুদের জন্য কী করণীয় তাও পরিষ্কার করা হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৩ সালের শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত জনগোষ্ঠীর সবাই শিশু হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ শিশুর জন্য বাজেটের ২০ শতাংশ ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও এবারের বাজেটে শিশুদের জন্য বিশেষ সুখবর নেই। নারীর ন্যায় শিশুদের ভাতাভোগী, উপকারভোগী হিসেবে বেশি চিহ্নিত করা হয়েছে এবারের বাজেটে।
যদিও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় নারী ও শিশুদের উন্নয়নে অনেক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু বাল্যবিবাহের মতো বিষয়গুলো প্রতিরোধে বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। ঘুরেফিরে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চলমান কার্যক্রমগুলোই শুধু তুলে ধরা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য ৪ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ হাজার ২৯০ কোটি টাকা ছিল। এবার নারী উন্নয়নসংক্রান্ত কার্যক্রম ও অগ্রাধিকার রয়েছে, এমন ৪৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে আওতাভুক্ত করে ‘জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদন ২০২৩-২৪’ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জেন্ডার সম্পৃক্ত বরাদ্দের মোট পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা।
২০১৩ সালের শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত জনগোষ্ঠীর সবাই শিশু হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ শিশুর জন্য বাজেটের ২০ শতাংশ ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও এবারের বাজেটে শিশুদের জন্য বিশেষ সুখবর নেই। নারীর ন্যায় শিশুদের ভাতাভোগী, উপকারভোগী হিসেবে বেশি চিহ্নিত করা হয়েছে এবারের বাজেটে।
বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা তথ্য বলছে, কর্মজীবী মায়েদের জন্য ১২৫টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৫ হাজার ৭৩০ জনকে দিবাকালীন সেবা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ছয়টি জেলা শাখায় আধুনিক কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং শিশুদের সাঁতার সুবিধা দিতে প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। শিশু একাডেমিতে প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার শিশু বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ায় শিশুদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশ ঘটছে।
বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করা হয়েছে, কিশোর-কিশোরীদের জন্য ২০১৭-২০৩০ মেয়াদে জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এ কৌশলপত্র বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে এক হাজার ১০৩টি কৈশোরবান্ধব কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতি বছর ২০০টি এ ধরনের কর্নার স্থাপন করা হবে। ৫৯২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ এবং জেলা শহরের মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রকে মা ও শিশু হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে।
পাঁচ বছরের কম বয়সী অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসায় ৪৮০টি উপজেলায় ফ্যাসিলিটি আইএমসিআই ও পুষ্টি কর্নার সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কমিউনিটি পর্যায়ে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসায় ৪২৫টি নতুন উপজেলায় কমিউনিটি আইএমসিআই বাড়ানো হয়েছে। নবজাতকের নাভিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে ৭ দশমিক ১ শতাংশ ক্লোরহেক্সিডিন ব্যবহার করার কার্যক্রম ২০টি জেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কম ওজন নিয়ে জন্ম বা অপরিণত জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য ক্যাঙারু মাদার কেয়ার সেবা কার্যক্রম ১৪২টি স্বাস্থ্য স্থাপনায় চলছে। এর বাইরে নতুন ২৫টি স্বাস্থ্য স্থাপনায় এ সেবা চালু করা করা হচ্ছে।
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক ও কারিগরি শিক্ষা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলমান। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঝুঁকিপূর্ণ খাতে কর্মরত শিশুর সংখ্যা ২ হাজার ৮০০ জন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ আটটি খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী শিশুদের চলাচলে র্যাম্প তৈরি হচ্ছে। এই শিশুদের শিক্ষা উপকরণ কেনা ও বিতরণে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাসিক শিক্ষাবৃত্তির হার বাড়িয়ে প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা করা হয়েছে।
জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে (ইউএনসিআরসি) উল্লিখিত শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এ সনদে স্বাক্ষর করে। এ সনদের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে জাতীয় শিশুনীতি গ্রহণ ও ২০১৩ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করে। এর আলোকে বাজেটে শিশুদের জন্য বরাদ্দের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন প্রণয়ন করে আসছিল সরকার।
দেশের জাতীয় বাজেটে সর্বপ্রথম ‘বাজেট থটস ফর চিলড্রেন’ শীর্ষক প্রতিবেদন তুলে ধরা হয় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে। এরপর ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এই বাজেট দেওয়া হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিশু বাজেট প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘বিকশিত শিশু: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’। ওই অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সম্মিলিত বাজেট বরাদ্দ ছিল এক লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেবল শিশুকেন্দ্রিক বাজেট ছিল ৮০ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এরপর গত চার বছরে শিশু বাজেট ঘোষণা করেনি সরকার।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ শিশুকেন্দ্রিক নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে রয়েছে– প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগ।
বাজেটে শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় আনুপাতিকভাবে কমেছে। এসব খাতে বরাদ্দ সংরক্ষণ করার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানায় তারা।
ইউনিসেফের বিশ্লেষণে দেখা যায়, স্বাস্থ্য খাতের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ এ বছর জিডিপির ০.৭৬ শতাংশে নেমে গেছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ০.৮৩ শতাংশ। বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জিডিপির ১.৭৬ শতাংশে নেমে গেছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ১.৮৩ শতাংশ।
গত ৭ জুন জাতীয় সংসদ ভবনে ইউনিসেফ ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ এবং শিশু অধিকার’ শীর্ষক ব্রিফিংয়ে খুলনা থেকে আসা ১৪ বছর বয়সী শিশু সাংবাদিক মাইশা আঞ্জুম আরিফা বলেন, ‘আমি অনেক শিশুর সঙ্গে কথা বলেছি, যাদের তিন বেলা খাবারের জন্য কাজ করতে হয়। তাদের বেশিরভাগই স্কুলে যায় না এবং অনেককে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।’
ইউনিসেফের বিশ্লেষণে দেখা যায়, স্বাস্থ্য খাতের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ এ বছর জিডিপির ০.৭৬ শতাংশে নেমে গেছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ০.৮৩ শতাংশ। বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জিডিপির ১.৭৬ শতাংশে নেমে গেছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ১.৮৩ শতাংশ।
এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এবং শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের চেয়ার শামসুল হক টুকু বলেন, ‘শিশুদের অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং তাদের মতামত তুলে ধরতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘শিশুদের অধিকার পূরণে এবং তাদের সার্বিক কল্যাণে-উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি করেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক খাতে বিনিয়োগ বজায় না থাকলে এই অগ্রগতি পিছিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।’
এবারের বাজেটেও উপেক্ষিত শিশুরা। সরকারের প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও টানা চার বছর শিশু বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে না। বিষয়টি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন– জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, শিশু বাজেট ঘোষণা করলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা তৈরি হয়। তাছাড়া শিশুদের জন্য বাজেটটা আসলে মূল বাজেটে কি অবস্থায় আছে সেটা স্পষ্ট। আমরা সব সময় বলেছি, এটা করা উচিত। তিনি বলেন, আমরা মূল বাজেট বিশ্লেষণে যা দেখছি, এবার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বাজেট খুব একটা বাড়েনি। একটা বড় চিন্তার জায়গা, স্কুলফিডিং প্রোগ্রাম উল্টো বন্ধ হয়ে গেছে। কোভিডের প্রভাবে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের জন্য কি করা হয়েছে তা অস্পষ্ট। তাছাড়া অটোপাসের প্রভাবে অনেক শিশু মান ধরে রাখতে পারছে না। অনেকে পড়াশোনা ও ক্লাস পায়নি, বিশেষ করে সরকারি প্রাইমারিতে সুবিধাবঞ্চিত সমাজের শিশুরাই বেশি পড়ে। তাদের জন্য বাজেটে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা উচিত। তাদের জন্য ও শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত।
তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, এসডিজির যে টার্গেট, সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা, সেক্ষেত্রে বরাদ্দ বড় আকারে কমে গেছে। এই ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়েকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই শিশু। অথচ তাদের জন্য বাজেটে কি পরিমাণ বরাদ্দ তা স্পষ্ট নয়। উন্নত দেশের সঙ্গে আমরা পাল্লা দেওয়ার কথা বলছি, সেখানে যদি সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে না পারি, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পিছিয়ে পড়বে।