বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম এর বিবৃতি

বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম এর বিবৃতি
বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম এর বিবৃতি: সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সমূহে চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতায় রোগী মৃত্যু ও তার পরবর্তীতে চিকিৎসকদের ঢালাওভাবে পুলিশী হয়রানি ও গ্রেপ্তারের কারণে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থার অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চলমান অনিয়মের শিকার হয়ে রোগীমৃত্যু ও তার পরবর্তীতে চিকিৎসকদের পুলিশী হয়রানি এই উভয়েরই তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোর কোন গুণগত উন্নয়ন না করে চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোন জটিলতায় জনসাধারণকে চিকিৎসক সমাজের মুখোমুখি দাঁড় করানোর এক হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। সাম্প্রতিক কালে খুলনায় এক ক্লিনিকে অপারেশন চলাকালীন সময়ে একজন বিশেষজ্ঞ প্লাষ্টিক সার্জনের উপর জনৈক পুলিশ শারীরিক হামলা চালায়। খুলনায় বিগত বছরে একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসককে সন্ত্রাসীরা চিকিৎসা জটিলতার অজুহাত তুলে হামলা চালিয়ে হত্যা করে, যেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নীরব অবস্থানে ছিল। চিকিৎসা যেমন মানুষের মৌলিক অধিকার তেমনি চিকিৎসকরাও তাদের পেশার ঝুকিপূর্ণ প্রবৃত্তি বিবেচনা করে আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রাখে। বাংলাদেশ দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৭৬-৯৫ এ চিকিৎসকদের পেশাগত কার্যসম্পাদদেন জটিলতা দেখা দিলে আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এটার তোয়াক্কা না করে চিকিৎসাকালীন সময়ে রোগী মারা গেলেই ঢালাও ভাবে হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে যা দেশের চিকিৎসা সেবাকে স্থবির করে তুলেছে। চিকিৎসকদের অবহেলা জনিত কারণে রোগী মারা গেলে বা ক্ষতি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে কিন্তু সেটা হওয়া উচিত যথাযথ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তদন্তের পর। সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে মহামান্য হাইকোর্টের এক বেঞ্চ এব্যাপারে সুস্পষ্ট মতামত দিয়েছেন। কিন্তু কোন রকম বিশেষজ্ঞ তদন্ত ছাড়াই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার চলমান অরাজকতাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্যই চিকিৎসকদের হত্যা মামলার আসামি করা ও বিনা তদন্তে কারাগারে প্রেরণ দেশের স্বাস্থ্য সেবাকে বিদেশমুখী করার একটা সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত বলে আমি মনে করি। এব্যাপারে সরকারের লেজুড়ভিত্তিক চিকিৎসক সংগঠন গুলোর নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তাও নিন্দনীয়। মনে রাখা উচিত করোনাকালীন সময়ে দেশের চিকিৎসকরাই জীবন বাজি রেখে মানুষকে সেবা দিয়েছিলেন। চিকিৎসক ও রোগী উভয়েরই আইনি সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রোগী ও চিকিৎসক উভয় পক্ষেরই পূর্ণ আইনি অধিকার এবং সুরক্ষার জোর দাবী জানাচ্ছি।