খেলা হবে, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে - ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেছেন, যত লাফালাফি করেন আন্দোলনের দিন শেষ। আন্দোলনের জন্য মানুষ আর আসবে না।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: আমি বিদেশি বন্ধুদের বলব, বিএনপি যতোই নালিশ করে না কেন। আমি আশ্বস্ত করছি দেশে একটা নিরপেক্ষ, ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, খেলা হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। খেলা হবে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে। যারা এদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে-শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি আবার পদযাত্রা শুরু করেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কি পদযাত্রা নাকি অন্তিম যাত্রা। উপরে তারা দেখাচ্ছে আমরা নরম, ভেতরে তারা আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপি গুলশানে একটা গুজবের কারখানা করেছে। বিদেশ থেকে অনলাইনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই গুজবের কারখানা বন্ধ করতে হবে। তারা সারাদিন মাইকের সামনে মিথ্যাচার করছে। আরেক মিথ্যাচারের ফ্যাক্টরি নয়া পল্টন। তারা বিদেশে লোবিং করছে, ষাড়যন্ত্র করছে। তাদের মূল কথা শেখ হাসিনাকে হটাবে। সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নে মুগ্ধ। যদি মানুষকে প্রশ্ন করেন কাকে ভোট দেবেন? তারা বলবে যারা রাস্তা দিয়েছে, বিদ্যুৎ দিয়েছে, যে উপজেলায় ডিজিটাল সেন্টার দিয়েছে তাকে ভোট দেব। যে পদ্মা সেতু করেছে তাকে ভোট দেব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে এটা শেখ হাসিনা জানে। বিশ্বে কয়েকটা যুদ্ধ চলছে। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, আপনি আমাদের অনুপ্রেরণা। এরা বলে খালি হাতে ফিরেছে। একজন প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন তিন ঘণ্টা ঘুমান। এইরকম প্রধানমন্ত্রী যেদেশে সে দেশে আন্দোলনের ডাক দেয়া যাবে। লোকজন পাওয়া যাবে না। মানুষ জানে শেখ হাসিনা সৎ। তার পরিবারের লোকজনরা চাকরি করে খায়।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব যতো লাফালাফি করবেন কিন্তু আন্দোলনের সময় শেষ। মানুষ বুঝে গেছে বিএনপি কোমর ভাঙা দল। তারা জানে বিএনপি নির্বাচনে গেলে বিএনপি শেখ হাসিনার ধারের কাছেও যেতে পারবে না। তাদের আন্দোলনের নেতা নাই। অস্ত্র উচিয়ে, বোমা মেরে, পেট্রোল বোমার চর্চা আর করতে চাইলে জনগণ রুখে দেবে। খেলা হবে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। খেলা হবে অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে। যারা এদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা রাস্তা বন্ধ করে পদযাত্রা করছে জনগণ তাদের প্রতি বিরক্ত। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, ফাইনাল খেলা। এখন যেগুলা হচ্ছে এগুলা ফাইনাল খেলা নয়। আসল খেলা হবে আরও পরে। আবার যদি মানুষ পোড়াতে আসেন। সেই হাত আমরা পুড়িয়ে দেব। যে হাতে বিএনপি ভাঙচুর করবে সেই হাত আমরা ভেঙে দেব।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ খ ম বাহা উদ্দিন নাসিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম প্রমুখ।