বিএনপি কর্মীদের হয়রানি ও গণগ্রেপ্তার বন্ধে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি

বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ চিঠি দেন।

বিএনপি কর্মীদের হয়রানি ও গণগ্রেপ্তার বন্ধে ডিএমপি কমিশনারকে চিঠি

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হয়রানি ও গণগ্রেপ্তার বন্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ চিঠি দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও  জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা এডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান।

পুলিশ কমিশনার বরাবর দেয়া চিঠিতে বলা হয়, নয়াপল্টনস্থ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে আপনার কার্যালয় থেকে মহাসমাবেশের সম্মতি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, গত ২৬শে জুলাই থেকে সমাবেশে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সারা দেশ থেকে আগত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের বিনা অভিযোগে গ্রেপ্তার করছে। আপনার অধীনস্থ পুলিশ বাহিনী ঢালাওভাবে নির্বিচারে আইন ও সংবিধানকে উপেক্ষা করে গ্রেপ্তার করেছে এবং গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। 

আপনি অবশ্যই অবগত আছেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে বাংলাদেশ সংবিধান এবং সংবিধানে বর্ণিত অন্যতম মৌলিক অধিকার হচ্ছে বিনা বাধায় রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত করা। বিশেষ করে সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৩৬, ৩৭, ৩৮ এবং ৩৯ অনুযায়ী যেকোনো সভা সমাবেশে মতামত প্রকাশ করা নাগরিকদের অলঙ্ঘনীয় মৌলিক অধিকার।

উল্লেখ্য, নগরবাসীর সুবিধার্থে ২৭শে জুলাই’র নির্ধারিত মহাসমাবেশ পরিবর্তন করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সংবিধান এবং প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে হয়রানিমূলক গণগ্রেপ্তার অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বিএনপি’র মহাসমাবেশ বানচাল করার উদ্দেশ্যে ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। দুপুর দেড়টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে বিক্ষোভ মিছিলে কয়েকশ’ আইনজীবী অংশ নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত মুক্তিকামী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করার আহ্বান জানান। তারা প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।