ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত থেকে পালালেন
সতর্কতার অভাবে আদালত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বাড়ছে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: আজ বৃহস্পতিবার এই আসামিকে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মুন্না হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিতে হাজির করা হলে হাজিরা শেষে ভবন থেকে নিচে নামানোর সময় পালিয়ে যায়। মানিকগঞ্জের কলেজছাত্র মনির হোসেন হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি। গত ২৩শে মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে সাইফুল ইসলাম (৩২) নামে মাদক মামলার এক আসামি পালিয়ে যায়। সতর্কতার অভাবে আদালত থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বাড়ছে। এ ঘটনায় কলেজছাত্র মনিরের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মনিরের পিতা পরশ আলী বলেন, ওতো আমাদেরকে মেরে ফেলবে। ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল বলেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে যেভাবে আদালতে নেয়ার কথা, সেভাবে না নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় দিয়েছে।
ঢাকার আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এ টি এম গুলজার জানান, দুই আসামিকে মামলার শুনানি শেষে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাদশা মিয়া পালিয়ে যান। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মতিয়ার রহমান মিয়া গনমাধ্যমকে বলেন, দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা এবং হাজতখানায় নিয়ে আসার দায়িত্বে ছিলেন এপিএসআই সেলিম মিয়া ও কনস্টেবল মাজহারুল ইসলাম। তাদের ফাঁকি দিয়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাদশা মিয়া পালিয়ে যান। পরিদর্শক মতিহার আরও বলেন, ‘শুনেছি পালিয়ে যাওয়া আসামি বাদশা মিয়ার হাতকড়া একটু ঢিলা ছিল। তবে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র মনসুর আলী ওরফে মুন্না হত্যা মামলার আসামি এই বাদশা মিয়া। মুন্না হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আসামি বাদশা মিয়া ও লাল মিয়াকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকালে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার সময় তাদের আদালতে নেয়া হয়। মামলায় সাক্ষী না আসায় এগারোটার সময় তাদের আবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর কর্তব্যরত পুলিশ পাঁচতলা থেকে দুই আসামি নিয়ে নিচে নামেন। চতুর্থ তলায় কর্তব্যরত পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বাদশা মিয়া পালিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাদশা মিয়াকে যখন আদালতে হাজির করা হয়, তখন তিনি চাদর গায়ে ছিলেন। তার হাতকড়া লাগানো ছিল কি-না, সেটা দেখা যায়নি।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews