ফুকুশিমার পানি ছাড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ চীন, জাপানের দূতাবাসে ইট নিক্ষেপ
বেইজিংয়ে, জাপানি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন যে কর্মীরা "অত্যন্ত উদ্বিগ্ন" ছিলেন
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার কাজ শুরু করেছে জাপান। সুনামি ও ভূমিকম্পের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লিগুলিকে ঠান্ডা করতেই ১০ লক্ষ মেট্রিক টন পানি ব্যবহার করবে জাপান। গত মাসে সেই পানি সমুদ্রে ফেলার অনুমতি দেয় ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’ । ফলে তেজস্ক্রিয় সেই পানি মিশবে সমুদ্রে। তাতেই বেজায় আপত্তি চীনের। যদিও জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা এই পানিকে নিরাপদ বলে জানিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বেজিংয়ে জাপানের দূতাবাসে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল চীনের নাগরিকদের বিরুদ্ধে। যাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছে জাপান।
শুধু তাই নয়, সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় পানি মিশছে এই দাবি তুলে গত সপ্তাহে, চীন তার প্রতিবেশীর কাছে থেকে সমস্ত সামুদ্রিক খাবার আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। এই আবহে বেজিংয়ে জাপানের দূতাবাসে ইট ছোঁড়ার ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাপান। বেইজিংয়ে, জাপানি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন যে কর্মীরা "অত্যন্ত উদ্বিগ্ন" ছিলেন
কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়াই তথ্য প্রদান করে অপ্রয়োজনীয়ভাবে জনগণের উদ্বেগ বাড়ানো ভিত্তিহীন । ইঁট নিক্ষেপের বিরুদ্ধে বেইজিং কী ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন যে, চীন সর্বদা আইন অনুযায়ী বিদেশীদের নিরাপত্তা, বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করে"। সেইসঙ্গে ওয়েনবিন জানান, ‘’আমরা দৃঢ়ভাবে জাপানি পক্ষকে সব বৈধ উদ্বেগের মুখোমুখি হওয়ার, অবিলম্বে সমুদ্রে পারমাণবিক দূষিত পানির নিষ্কাশন বন্ধ করার, তার প্রতিবেশী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শ করার এবং পারমাণবিক দূষিত পানিকে দায়িত্ব সহকারে নিষ্পত্তি করার জন্য জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। '' জাপানে বেকারি থেকে শুরু করে অ্যাকোয়ারিয়াম পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানে হাজার হাজার ভুয়ো কল আসছে , যেখানে অযথা অশ্লীল ভাষার প্রয়োগ করা হচ্ছে। চীনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা কলগুলির রেকর্ডিং এবং ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করেছেন, যার মধ্যে কয়েকটি হাজার হাজার লাইক পেয়েছে । সূত্র : এনডিটিভি