প্রেসিডেন্টকে ৩২ ঘণ্টা, বিরোধী প্রার্থীকে ৩২ মিনিট দিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টিভি!

প্রেসিডেন্টকে ৩২ ঘণ্টা, বিরোধী প্রার্থীকে ৩২ মিনিট দিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টিভি!

প্রথম নিউজ ডেস্ক: তুরস্কে প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারওউলু। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুরস্কের মূলধারার গণমাধ্যমের ব্যাপক সমালোচনা করে বৈশ্বিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে, নির্বাচনকে ঘিরে সঠিক তথ্য প্রবাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে। তুরস্কের মূলধারার গণমাধ্যম, যেখানে বেশির ভাগ মানুষ নিজেদের খবরগুলো পেয়ে থাকেন, ব্যাপকভাবে সরকারের পক্ষ নিয়েছে।

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার বরাতে এইচআরডব্লিউ জানায়ঃ গত মাসে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের বক্তৃতার জন্য ৩২ ঘন্টা ব্যয় করেছে। কিন্তু, একই সময়ে প্রেসিডেন্ট পদে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারওউলুর বক্তব্যের জন্য ব্যয় করেছে মাত্র ৩২ মিনিট।

তুরস্কের বিরোধী দলগুলো তাই জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে স্বাধীন সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট এবং লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভর করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব সহ অন্যান্যগুলোতেও সরকারের নেতৃত্বে  অত্যন্ত বিভাজনমূলক রাজনৈতিক প্রচারণা চালানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো কন্টেন্টের ক্ষেত্রে সংযম এবং অ্যাকাউন্টের সত্যতা সম্পর্কে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিতে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং অস্বচ্ছ ছিল, যা তুরস্কের ইতিমধ্যে দূষিত রাজনৈতিক পরিবেশে আরো কাদা লেপে দিয়েছে।

এইচআরডব্লিউ মনে করে, উক্ত প্ল্যাটফর্মগুলোর, বিশেষ করে নির্বাচনের সময় এটা নিশ্চিত করা উচিত যে, তারা তাদের মানবাধিকারের দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত চেষ্টা চালিয়েছে। তুরস্কের সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করতে এবং এরদোগান বা সরকারি দলের সমালোচনামূলক কন্টেন্টগুলো নির্বিচারে অপসারণের মতো বিধিনিষেধ আরোপ করতে অনেককিছুই করেছে বলেও মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে।