প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেভাবে মূল্যায়ন করা হবে
মঙ্গলবার অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি সব উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি ২০২৩ এ উল্লিখিত মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রান্তিকের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন করতে হবে তার একটি রূপরেখা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কাছ থেকে ফি গ্রহণ করা যাবে না। তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কোনো মূল্যায়ন বা পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। মঙ্গলবার অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি সব উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি ২০২৩ এ উল্লিখিত মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রান্তিকের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার রুটিন প্রণয়ন করবেন।
সহকারী উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বিষয় শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখনক্ষেত্র বিবেচনায় বিদ্যালয় বা ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে। মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কাছ থেকে ফি গ্রহণ করা যাবে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটারে কম্পোজ করে ফটোকপি করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফটোকপি ও উত্তরপত্রসহ (খাতা) আনুষঙ্গিক ব্যয় বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত বা স্লিপ ফান্ড থেকে নির্বাহ করতে হবে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কোনো মূল্যায়ন বা পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম ২০২১ (প্রাথমিক স্তর) অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে কোনোরূপ প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে কোভিড পরিস্থিতির অব্যবহিত পূর্বের নিয়মানুযায়ী মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে। প্রাথমিক স্তরের শ্রেণীকক্ষে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের একটি নির্দেশিকা প্রাথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণির জন্য রচিত সকল শিক্ষক সহায়িকা সংযুক্ত করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে ওয়েব সাইটে (www.nctb.gov.bd) আপলোড করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি বিষয়ের উপর অর্জন উপযোগী যোগ্যতা ও শিখনফলের নম্বর উল্লেখপূর্বক শিক্ষক ডায়েরি-১ এবং শিক্ষক ডায়েরি-২ নামে দুটি ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফাইল আপলোড করা আছে।
সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ফাইল ডাউনলোড করে নির্দেশনা অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। প্রতি প্রান্তিকে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদনও দিতে পারবেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।