প্রথম চালানে ভারতে গেলো ১২ টন ইলিশ
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারতের কলকাতার দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আর এস এন্টারপ্রাইজ ও আর জে এন্টারপ্রাইজের তিনটি ট্রাকে ১২টন ইলিশ বেনাপোল থেকে ভারতের প্রেট্রাপোল বন্দরে পৌঁছেছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: আসন্ন দুর্গাপুজা উপলক্ষে ভারতে ১২ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে। যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশের প্রথম চালান গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারতের কলকাতার দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আর এস এন্টারপ্রাইজ ও আর জে এন্টারপ্রাইজের তিনটি ট্রাকে ১২টন ইলিশ বেনাপোল থেকে ভারতের প্রেট্রাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। আর প্রথম চালানে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ ও সোমা এন্টারপ্রাইজ।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরে তা থেকে সরে এসে তারা শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দেশে সরবরাহ বাড়াতে এ বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘আমরা ক্ষমা চাচ্ছি। ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটা দামি মাছ। আমরা দেখেছি যে আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারে না। কারণ, সব ভারতে পাঠানো হয়।’
এরপর ভারত ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। পরে ২২ সেপ্টেম্বর ইলিশ রপ্তানি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের যারা মৎস্য ব্যবসায়ী এবং বাংলাদেশের যারা মৎস ব্যবসায়ী তাদের একটা অনুরোধের প্রেক্ষিতে এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এরসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।’